রবিবার, ২০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নকলায় পাটের বাম্পার ফলন হলেও জাগ নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা

আব্দুল্লাহ আল-আমিন, নকলা (শেরপুর):

ছবি-কালের সকাল

শেরপুরের নকলায় চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকলেও, জাগ দেওয়ার অভাবে কৃষকরা দুশ্চিন্তায় আছেন।

অনেক কৃষক জানান, বৃষ্টি বাদলের সম্ভাবনা কম দেখা দেওয়া, পাটের দরপতনের কারনে ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও এলাকার বেশিরভাগ খাল, বিল শুকিয়ে যাওয়ায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চিন্তায় পরেছেন তারা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পাট উন্নয়ন অধিদপ্তরের তত্বাবধানে উপজেলায় মোট ৫০৭ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে তোষা জাতের পাট ৪২০ হেক্টরে, দেশী জাতের পাট ৪৫ হেক্টর, মেস্তা জাতের পাট ২২ হেক্টর ও কেনাফ পাট ২০ হেক্টর জমিতে চাষ করেছেন কৃষক।

নিবিড় পরিচর্যা আর কৃষি অফিস কর্তৃক চাষীদের প্রশিক্ষণ ও সার্বিক পরামর্শের কারণে এবার পাটের তেমন কোনো রোগবালাই দেখা দেয়নি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। তাছাড়া কৃষকরা ভালো দাম পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও আশা করছেন তারা।

সরেজমিনে উপজেলার মোছারচর, বানেশ্বরদী, নারায়নখোলা, পাঠাকাটা ও ভূরদীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বাতাসের সাথে তাল মিলিয়ে দোল খাচ্ছে সবুজ পাটগাছ। বর্ষার শুরুতে বৃষ্টিতে যৌবন পাওয়া সতেজতা ছড়িয়ে চোখের সামনে তুলে ধরেছে প্রাকৃতিক মুগ্ধতা।

ভূরদী খন্দকারপাড়া কৃষিপণ্য উৎপাদক কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব মো. ছায়েদুল হক জানান, বিভিন্ন প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা, শ্রমিক মজুরি বেশি, জাগ দেওয়ার পানির অভাবসহ বিভিন্ন কারনে দিন দিন পাটের চাষের প্রতি কৃষকের আগ্রহ কমছে। কোন একসময় এদেশের উৎপাদিত পাট সোনালী আঁশ হিসেবে দেশ-বিদেশে খ্যাতি ছিলো। বিভিন্ন কারনে আজ এই সোনালী আঁশের দুর্দিন চলছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তবে কৃষকদের মতে, যদি দ্রুত জাগ দেওয়ার সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে সম্ভাব্য এই বাম্পার ফলন শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত সুফল এনে নাও দিতে পারে।

সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে

প্রিয় পাঠক,

আপনিও দৈনিক কালের সকাল-এ ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি নিয়ে লিখতে পারেন।

আপনার লেখা পাঠানোর ঠিকানাঃ kalersokal1996@gmail.com