রবিবার, ২০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে মারধর, স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

নিউজ রুম-

প্রতিকী ছবি

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে মারধর ও স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাতের এ ঘটনায় সোমবার তজুমদ্দিন থানায় উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক ফরিদ উদ্দিনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

দায়ের কৃত মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে– তজুমদ্দিন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. রাসেল এবং ফরিদ উদ্দিনের সহযোগী আলাউদ্দিন, যিনি নিজেকে স্থানীয় যুবদলের নেতা হিসেবে পরিচয় দেন, তবে কোনো পদ নেই।

ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী নারীর স্বামী জানান, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ চলছে। এ নিয়ে কথা বলার জন্য শনিবার রাতে ফোন করে তাকে তজুমদ্দিন বাজার এলাকায় যেতে বলেন ওই নারী। সেখানে পৌঁছানোর পর শ্রমিক দলের নেতা ফরিদ উদ্দিন, তার সহযোগী আলাউদ্দিন, ছাত্রদল নেতা রাসেলসহ ৫ থেকে ৭ জন তাকে মারধর করে চার লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না পেয়ে তাকে রাতভর নির্যাতন করা হয়। খবর পেয়ে পরদিন রোববার বেলা ১১টায় ওই ব্যক্তির প্রথম স্ত্রী সেখানে গিয়ে আসামিদের ১০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু এতে খুশি হননি ফরিদ ও তার লোকজন। ক্ষুব্ধ হয়ে স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে নির্যাতন করতে থাকে তারা।

ধর্ষণের শিকার নারীর অভিযোগ, দুপুর ১২টায় তার স্বামীকে জোরপূর্বক বাসার বাইরে নিয়ে যায় আসামিদের কয়েকজন। এ সময় ওই বাসার একটি কক্ষে ফরিদ ও আলাউদ্দিন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। তখন ঘরের বাইরে পাহারায় ছিল মারধরের শিকার ব্যক্তির দ্বিতীয় স্ত্রী। ধর্ষণের শিকার নারী আসামিদের ‘ভাই’ ডেকেও রক্ষা পাননি। বিষয়টি কাউকে না জানানোর শর্তে বিকেলে মুক্তি স্বামী-স্ত্রীর। বাড়ি ফিরে সন্ধ্যায় দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালান ধর্ষণের শিকার নারী। তবে স্বজনদের কারণে তিনি তা করতে পারেননি। প্রতিবেশীদের সহায়তায় ওই রাতে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পরে তজুমদ্দিন থানা পুলিশ গিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় তজুমদ্দিন থানার ওসি মোহাব্বত খান জানান, এজাহার অনুযায়ী, ফরিদ ও আলাউদ্দিন ধর্ষণ করে এবং একজন তাদের সহযোগিতা করে। মারধরের ঘটনায় ৬-৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভোলা জেলার এসপি মোহাম্মদ শরীফুল হক বলেন, তদন্তে প্রমাণ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদল নেতা রাসেল বলেন, ‘আমি বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।’ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ওমর আসাদ রিন্টু জানান, বিএনপির অঙ্গসংগঠনের কেউ এ ঘটনায় জড়িত থাকলে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে

প্রিয় পাঠক,

আপনিও দৈনিক কালের সকাল-এ ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি নিয়ে লিখতে পারেন।

আপনার লেখা পাঠানোর ঠিকানাঃ kalersokal1996@gmail.com