অতিবৃষ্টির কারনে শেরপুরের সবগুলো নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।৩ জুলাই (বুধবার) থেকে মহারশি, সোমেশ্বরী, ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান জানান।শেরপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, “ঝিনাইগাতীর মহারশি নদী ও নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর ভাঙা বাঁধের মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। ফলে নদীর পানি এখন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। তবে উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রভাবে অনেক গ্রামীণ রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।”আজ বুধবার শেরপুর জেলার কোথাও বৃষ্টি না হলেও সকাল থেকে শেরপুরের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। তবে বৃষ্টি হলে বন্যা পরিস্থিতি আবারও অবনতি হতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন।বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির বলেন, “অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ঝিনাইগাতী উপজেলায় ২০ হেক্টর রোপা আমনের বীজতলা, ১৫ হেক্টর আউশ ও ৯৮ হেক্টর সবজি ক্ষেত আংশিক নিমজ্জিত রয়েছে এবং নালিতা বাড়ি উপজেলায় ১০ হেক্টর রোপা আমন বীজতলা, ১ হাজার ৩৫ হেক্টর আউশ ও ১২৬ হেক্টর সবজি ক্ষেত সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার ৫ হেক্টর রোপা আমন বীজলা আংশিকভাবে এবং ২০ হেক্টর রোপা আমন বীজতলা সম্পূর্ণ নিমজ্জিত রয়েছে।” যার ফলে স্থানীয় প্রান্তিক কৃষকগন ক্ষতির সম্মুখীন।