ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, এ রোগে আক্রান্ত হলে গরুর শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং পায়ের ক্ষুর ও মুখে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। গবাদি পশু শরীরে প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভব করে। মুখ দিয়ে অনবরত লালা বের হতে থাকে। গরুর খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। দুর্বল হয়ে চলাচলের শক্তি হারিয়ে ফেলে এক পর্যায় মারা যায় আক্রান্ত গরু।
বৃহস্পতিবার সরজমিনে নবগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে অধিকাংশ গরু। সঠিক সময়ে এ রোগের ভ্যাকসিন না দিতে পারায় গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন স্থানে গরুর মৃত্যু হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, এ রোগে আক্রান্ত হলে গরুর শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং পায়ের ক্ষুর ও মুখে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। গবাদি পশু শরীরে প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভব করে। মুখ দিয়ে অনবরত লালা বের হতে থাকে। গরুর খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। দুর্বল হয়ে চলাচলের শক্তি হারিয়ে ফেলে এক পর্যায় মারা যায় আক্রান্ত গরু।
নবগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক দুলাল মৃধা বলেন, ‘আমার ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভী ও একটি বাছুর ছিল। সপ্তাহখানেক হলো তারা ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। প্রথমে রোগটি সম্পর্কে ধারণা ছিল না। ফলে আমার বাছুর ও গাভীটি মারা গেছে। তাদের বাজার মূল্য ছিল প্রায় ৪ লাখ টাকা।’
রোগের চিকিৎসা বা সচেতনতায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি বলে জানান তিনি।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে আরেক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সজল বৈদ্য জানান, ‘আমার দুটি গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। গরু লালন-পালন করেই আমি জীবিকা নির্বাহ করি। আমরা গরীব মানুষ। এখন বাঁচব কীভাবে!’
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ডাসার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুলফিকার এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে আমি সাভারে ট্রেনিংয়ে রয়েছি। আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। আমি লোক পাঠিয়ে খোঁজ নেব।’