ফুলপুর উপজেলার সরকারি ডিগ্রি কলেজের অবহেলিত শহিদ মিনার সংস্কার করেন সেচ্ছাসেবী সংগঠন শতদ্রু ফাউন্ডেশন।
জানাযায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জরাজীর্ণ শহিদ মিনার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হলে বিষয়টি শতদ্রু’র নজরে আসে।
বুধবার সকালে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্যের সহযোগিতায় শহিদ মিনারটি সংস্কার ও এর আশপাশ পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয় শতদ্রুর সেচ্ছাসেবকরা। এ বিষয়ে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য জনাব আরিফুল হক জানান, “বহু বছর যাবৎ ফুলপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের শহিদ মিনারটি জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ তা আমলে নিচ্ছেন না। পরে আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি শেয়ার করলে শতদ্রু তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়।
আমি শতদ্রুর এমন মহৎ কর্মে শুভেচ্ছা পোষণ করছি এবং কর্তৃপক্ষকে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।” শতদ্রু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা একরামুল হক জিহাদের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কার কাজে অংশগ্রহণ করে স্বেচ্ছাসেবক আলিমুন ইসলাম, হাদিয়া সিদ্দিকী হিমেল, হেমায়েতুল্লাহ হিমু, শাহ রাব্বি হাসান, শাহ মাহমুদুল হাসান, স্বর্ণা আক্তার, একরামুল হক নিলয়, সাগর সূত্রধর, তানভীর হাসান সোহেল প্রমুখ।
এ বিষয়ে শতদ্রু ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা একরামুল হক জিহাদ বলেন, “ফুলপুর সরকারি কলেজের এই শহিদ মিনারটি বিগত বহু বছর ধরে অবহেলায়-অযত্নে পড়ে ছিলো। শতদ্রু ফাউন্ডেশন যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে তাই উপজেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে বাঙালি জাতীয়তাবাদের অস্তিত্বের প্রতীক শহিদ মিনারকে এভাবে দেখে তাৎক্ষণিক সংস্কার করার উদ্দ্যোগ নেয় শতদ্রু ফাউন্ডেশন। তারই অংশ হিসেবে আজকে শতদ্রু’র স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ শহিদ মিনার ও আশেপাশের এলাকা পরিষ্কার করলো।
খুব দ্রুতই শতদ্রু ফাউন্ডেশন নিজ অর্থায়নে রং করবে শহিদ মিনারকে। সেই সাথে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উপজেলা ও কলেজ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ফুলপুর উপজেলার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পরিবর্তে এই কলেজে শহিদ মিনারেই পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে শতদ্রু। সেই সাথে আমি ফুলপুর উপজেলার সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ কলেজের সকল শিক্ষার্থীদের এই শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার আহবান জানাচ্ছি।” শতদ্রু’র এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সেইসাথে ফুলপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের শহিদ মিনারটি সংস্কারে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন সচেতন মহল।