বন্ধ থাকা শেরপুর জেলা কারাগার অবশেষে ১৩০ দিন পর চালু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত মোট ১৩ জন হাজতি নিয়ে নতুন করে শুরু হয় জেলখানার কার্যক্রম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার জুবাইর হোসেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের দিন বিকেলে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায় শেরপুর জেলা কারাগারে। সেসময় ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করলে কারাগার থেকে পালিয়ে যায় ৫১৮ জন বন্দি। এরপর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় কারাগার।
পরে আসামিদের পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলা কারাগারে বন্দি রাখা হয়। সেই ঘটনার চার মাসের বেশি সময় লাগলো নির্মাণকাজের।
স্থানীয়রা বলছেন, একটা জেলায় জেলখানা নাই। কারও গ্রেপ্তারের আশঙ্কাও নেই। এতদিন একটি আতঙ্কের এক জনপদ ছিল শেরপুর। আলোচিত এবং দুর্ধর্ষ কোনো ঘটনা না থাকলে নেই কোনো গ্রেপ্তার। ফলে চিহ্নিত মাদককারবারি, হত্যাসহ ভয়ংকর অপরাধীরা অবাধে চোখের সামনে ঘুরে বেড়াতো এত দিন। এমনকি ছাত্র আন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলার আসামিরাও অনেকেই প্রকাশ্যে ছিল। এখন তাদের আতঙ্ক কমবে।
এ ব্যাপারে শেরপুরের জেল সুপার মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, আমাদের অফিসের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি এখনো। তবুও আমরা অফিসে বসে কাজ শুরু করেছি। আজ থেকে আদালতের মাধ্যমে পাঠানো বন্দিদের গ্রহণ শুরু করা হয়েছে। তবে বড় পরিসরে বন্দি রাখা এ মুহূর্তে কঠিন। দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ সক্ষমতায় ফিরব আমরা। এ ছাড়াও আমাদের বেশকিছু কয়েদি ও হাজতি পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলা কারাগারে রয়েছে। তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে শেরপুরে স্থানান্তর করা হবে।