বুধবার , ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন ও আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আমাদের কথা
  7. আলোকচিত্র (ছবি)
  8. কৃষি ও প্রকৃতি
  9. খেলাধুলা
  10. গণমাধ্যম
  11. গ্রাম বাংলা
  12. জাতীয়
  13. তথ্যপ্রযুক্তি
  14. দেশজুড়ে
  15. ধর্ম

শেরপুরে, ছেলেকে যাদু-টুনা করেছে এই সন্দেহে কবিরাজ’কে গলাকেটে হত্যা!

প্রতিবেদক
কালের সকাল নিউজ ডেস্ক
ডিসেম্বর ৪, ২০২৪ ৩:৩৬ অপরাহ্ণ

শেরপুরের চাঞ্চল্যকর এরশাদ আলী (৫৮) কবিরাজ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মাত্র সাড়ে তিন লাখ টাকা কন্ট্রাকে হত্যা করা হয় এরশাদ কবিরাজকে। এরশাদ কবিরাজের সমন্ধী আব্দুল মোতালেব এই ভাড়াটিয়াদের দিয়ে তাকে জবাই করে খুন করায়। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৫ জনকে এপর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এরমধ্যে আজ ৪ ডিসেম্বর ভোরে শেরপুর ও জামালপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ এ হত্যাকান্ডের মাষ্টার মাইন্ড আঃ মোতালেব (৫৬), হানিফ মিয়া (২৭) ও শহিদুল ইসলাম (৪৫)কে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত আঃ মোতালেব শেরপুর সদর উপজেলার চরমুচারিয়া মাঝপাড়ার মোঃ ওয়াহেদ আলীর ছেলে এবং এরশাদ কবিরাজের সম্বন্ধি, হানিফ মিয়া একই উপজেলার ডাকপাড়ার লেবু মিয়ার ছেলে এবং শহিদুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলা সদরের শরিফপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মৃত লাল মাহমুদের ছেলে।

এর আগে গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে আব্দুর রশিদ ও ছানোয়ার হোসেন।পুলিশ সূত্রে জানাযায়, শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে এরশাদ কবিরাজ বিভিন্ন স্থানে কবিরাজি চিকিৎসা করতো ও ঝারফোক দিতো। বেশ কিছুদিন আগে তার সম্বন্ধি আঃ মোতালেবের ছেলে শিমুল অসুস্থ হয়ে অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে। এতে তার (মোতালেবের) সন্দেহ হয় এরশাদ কবিরাজ জাদু করে তার ছেলেকে পাগল বানাইছে। সম্প্রতি ঝড়ে মোতালেবের মেয়ের ঘর ভেঙে যায়। এতেও এরশাদ কবিরাজের জাদুকেই দায়ী করে মোতালেব। এই জেদেবশবর্তী হয়েই এরশাদ কবিরাজকে খুন করার পরিকল্পনা করে আঃ মোতালেব। সে হানিফ ও শহিদুলের মধ্যস্থতায় স্থানীয় ময়নাল সাধুর সাথে এরশাদ কবিরাজকে খুন করার জন্য সাড়ে তিন লাখ টাকার চুক্তি করে। চুক্তি মোতাবেক ময়নাল সাধু এরশাদ কবিরাজকে গত ১৭ অক্টোবর নিজ বাড়ি থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে যায়। ডেকে নিয়ে আব্দুর রশিদ, হানিফ ও ছানোয়ারের সহযোগিতায় এরশাদ কবিরাজকে শেরপুর ব্রক্ষপুত্র সেতুর নীচে বালুচরে হাত-পা বেঁধে জবাই করে খুন করার পর সেখানেই বালু চাপা দিয়ে রাখে। এর পাঁচ দিনের মাথায় ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এরশাদ আলী কবিরাজ পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিলো জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশীদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়েও তিনি খুন হতে পারেন।

এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতদের আসামি করে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তের একপর্যায়ে সন্দেহ ভাজন আব্দুর রশিদ ও ছানোয়ার হোসেনকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকেই বেরিয়ে আসে মূল রহস্য। পুলিশ বিষয়টি গোপন রেখে গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়ে আজ ৪ ডিসেম্বর ভোরে মোতালেব, হানিফ মিয়া ও শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞেসাবাদে তারা ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুবাইদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুরু থেকেই পুলিশ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে সতর্কতার সাথে মামলাটি তদন্ত শুরু করে। ইতিমধ্যে রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে এবং বেশিরভাগ আসামিরা গ্রেপ্তার হয়েছে। তারা পুলিশের কাছে ও আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

সর্বশেষ - Uncategorized

আপনার জন্য নির্বাচিত

অর্থের বিনিময়ে জীবিত বিধবাকে মৃত বানিয়ে বিধবা ভাতার কার্ড স্থানান্তর !

বাংলাবাজারে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এর উদ্বোধন করেন রফিকুল আলম মজনু

শেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চা দোকানদারের মৃত্যু

শেরপুরের নকলা উপজেলায় ২১ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

প্রাথমিক শিক্ষাথীদের মেধার ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে বন্যা কবলিত এলাকায় ক্লাস চলবে শুক্র-শনিবার সহ।

বিয়েতে রাজি না হওয়ায় পরিবারের ১৩ সদস্যকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করল তরুণী!

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বানভাসিদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

ফুলপুরে কৃষক দল উপজেলা ও পৌর শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কালীগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় মিলাদুন্নবী উদযাপন

তাসকিনের ঘুমি যখন কাল হলো বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে!