শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ গবেষণাগারের পক্ষ থেকে ৫১জন কৃষকের ফসলি জমির মাটি পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে তাদের মাঝে সার-সুপারিশ কার্ড বিতরণ করা হয়। মৃত্তিকা নমুনা পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ শেষে মঙ্গলবান (৩ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা কৃষি অফিস চত্ত্বরে চাষীদের মাঝে এই সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ করা হয়। সার সুপারিশ কার্ড পেয়ে উপস্থিত কৃষকরা অনেক উপকৃত হয়েছেন বলে জানান কৃষকরা।
কৃষি মন্ত্রণাললয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট কর্তৃক সারাদেশে ৫৬টি উপজেলায় ভ্রাম্যামাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগারের মাধ্যমে মৃত্তিকা নমুনা সংগ্রহ এবং রাসায়নিক বিশ্লেষণ পূর্বক উপজেলা পর্যায়ে সার-সুপারিশ কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। এ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ঝিনাইগাতী উপজেলায় ৫১জন কৃষককে এসব কার্ড প্রদান করা হয়।
উক্ত কার্ড বিতরণ কর্মসূচিতে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন, ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার ব্রম্মপুত্রের টিম লিডার ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল আলম, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, টিমের সদস্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. লুতফুল হাসান, মো. রবিউল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ভ্রাম্যামাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (ব্রহ্মপুত্র) এর মাধ্যমে রবি ও খরিপ মৌসুমে কৃষকদের ফসলি জমির মাটি মাত্র ২৫ টাকার বিনিময়ে সরেজমিনে পরীক্ষা করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ফরহাদ হোসেন জানান, কোন কৃষক তাদের চাষাবাদের জমির মাটি পরীক্ষার জন্যে জামালপুর অফিসে গিয়ে অথবা উপজেলা কৃষি অফিস এর মাধ্যমেও পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন। এতে কৃষকরা তাদের চাষাবাদের জমিতে সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ করে সুফল পাবেন। এতে যেনতেন সার প্রয়োগ যেমন কমবে, তেমনি কমে আসবে কৃষকদের সার প্রয়োগের খরচও।