বিভিন্ন খাতে করছাড় দেয়ার পর কী সুবিধা মিলছে তা খতিয়ে দেখে সে অনুযায়ী নতুন পরিকল্পনা ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ব্যাংকার ও স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেছেন, শিল্পের পুঁজি যোগান দেয়া ব্যাংকের কাজ নয়। তহবিলের জন্য স্টক ও বন্ড মার্কেটকে গতিশীল করতে হবে। শুধু সরকারি সুযোগ-সুবিধার মুখাপেক্ষী হলে চলবে না। সবাইকে সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করতে হবে বলে এ সময় জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, দেশের ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে ৪০টি ভালো অবস্থায় আছে। অনেক প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে খাবি খাচ্ছে। বারবার ঋণ পুনঃতফসিল বা পরিচালনা পর্ষদ ভেঙেও অনেক ব্যাংকের অবস্থা ভালোতে ফেরানো যায়নি। ফলে ভালো অবস্থানে থাকা ব্যাংকের সাথে দুর্বল ব্যাংককে একীভূত করার আলোচনা চলছে নানা মহলে।
এমন অবস্থায় মঙ্গলবার রাজস্ব বোর্ডের সাথে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নেন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা। আলোচনায় করপোরেট করহার কমানো ও ক্রেডিট কার্ডে আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। এছাড়া ভ্যাট আদায়ে নিজস্ব সফটওয়্যার ব্যবহারের কথাও বলেন তারা।
বৈঠকে মার্চেন্ট ব্যাংকাররাও করহার কমানোর দাবি জানান। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সাথে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির আয়করের পার্থক্য আরও বাড়ানোর দাবি জানান।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, সরকারই বলছে ব্যাকডেট বা ক্লাসিফায়েড ঋণের ক্ষেত্রে প্রবিশন করতে, সেখানে এর ওপর আবার এখন কেনো ট্যাক্স দিতে হবে? এর কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না।
বৈঠকে অংশ নেয়া সিকিউরিটিজ কোম্পানির এক প্রতিনিধি বলেন, যেখানে ১ লাখ টাকায় যথাক্রমে ভারত ১৩ টাকা, পাকিস্তান ২০ টাকা ও হংকং ২ টাকা ৭০ পয়সা দেয়, সেখানে আমরা ৫০ টাকা দিয়ে থাকি। এটি বিবেচনা করার দাবি জানান তিনি।
আরেকজন বলেন, অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড এবং স্মল ক্যাপ বোর্ডের মধ্যে তালিকাভুক্তি হলে অন্তত প্রথম দু থেকে তিন বছরের মধ্যে যদি কর মওকুফ করা যায়, তাহলে এ কোম্পানিগুলোকে একটা স্ট্রিমলাইনে আনা যাবে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মেট্রোপলিটন চেম্বার ও ফরেন চেম্বার অব কমার্সের সাথে প্রাক-বাজেট বৈঠকে বসবে এনবিআর।