মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী অর্থাৎ বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সেনাসদস্যসহ এখন পর্যন্ত মোট ২৬৪ জনকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে, তাদেরকে ফেরত পাঠনোর বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান বিজিবি মহাপরিচালক।
নতুন অনুপ্রবেশ ঠেকানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত বিজিবির নিয়ন্ত্রণে। আজকেও ৬৫ জন রোহিঙ্গা প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদেরকে প্রতিহত করা হয়েছে। নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গাকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত পর্যন্ত ১১৫ জন বিজিপি সদস্য আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। আজ (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে আরও ১১৪ জন যুক্ত হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ২২৯। দুপুরের পর বিজিপি সদস্যসহ দেশটির অন্যান্য বাহিনীর আরও ৩৫ জন যোগ হয়ে মোট ২৬৪ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
এদের মধ্যে ১৫ জন আহত ছিলেন। যারমধ্যে ৮ জন ছিলেন গুরুতর আহত। এই ৮ জনের মধ্যে ৪ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে বিজিবির ব্যবস্থাপনায় ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ৪ জনকে বিজিবির ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আশ্রয়প্রাপ্তদের থাকা ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে বিজিবি ডিজি বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। বলেন, বাংলাদেশে কিছু গোলা আসছে। তবে এ নিয়ে মিয়ানমার সরকারের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।