গাজীপুরের কালীগঞ্জে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে মদ তৈরির কারিগর স্টেনলি কস্তা ও পেশাদার মাদক বিক্রেতা খোকন ভূঁইয়াকে এবং চুরির মামলায় মামুন খান @ আব্দুল্লাহ, সোহেল রানা ও মোহাম্মদ মজিবুর রহমান মিন্টুকে আটক করে ১২ লিটার চোলাই মদসহ মদ তৈরির উপকরণ জব্দ, ১৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ২০০ গ্রাম গাঁজা সহ চুরির মালামাল উদ্ধার করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। বুধবার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের গাড়ালিয়া এলাকার সুবীর কস্তার ছেলে মদ তৈরির কারিগর ও বিক্রেতা স্টেনলি কস্তাকে আটক করে।
এ সময় তার বাড়ী হতে ১২ লিটার চোলাই মদসহ মদ তৈরির উপকরণ জব্দ করে। স্টেনলি নিজে মদ তৈরি করে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে। এছাড়াও উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের পুন্যারটেক সাজন ভূইয়ার বাড়ির সামনের পাকা রাস্তার উপর ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রির সময় আব্দুল বাতেন ভুইয়ার ছেলে পেশাদার মাদক বিক্রেতা মো. খোকন ভুইয়াকে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেহ তল্লাশী করে ১৫ পিস ইয়াবা, ২০০ গ্রাম গাঁজা ও মাদক বিক্রির নগদ ১২ হাজার ২ শত পঞ্চাশ টাকা উদ্ধার করেন। অপরদিকে কালীগঞ্জ থানার ২০(১০)২৪ নং চুরির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সুশান্ত চন্দ্র সরকার সঙ্গীয় এএসআই আরিফ ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে প্রথমে পৌরসভার মুনশুরপুর এলাকার মৃত আতাউর রহমানের ছেলে মামুন খান @ আব্দুল্লাহকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তার দেওয়া তথ্যমতে দড়িসোম এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে সোহেল রানা ও মোরশেদ সরকারের ছেলে মোহাম্মদ মজিবুর রহমান মিন্টুকে গ্রেফতার করেন।
তারা জিজ্ঞাসাবাদে চোরাইকৃত মালামাল টঙ্গীপূর্ব থানাধীন আমতলীস্থ রাকিব হার্ডওয়ারে বিক্রির কথা জানান। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত হার্ডওয়ার দোকান হতে ১২ ভোল্টের ৩টি ব্যাটারি, লোহার প্রিনিয়াম ৩৯টি, লোহার তৈরি ৯টি সেফ, স্টিলের তৈরি বিভিন্ন সাইজের ২৩টি ডোর লক, ২০ কেজি স্টিলের তৈরি সিট ও লোহার তৈরি ২০টি রুপিং স্ক্রু উদ্ধার করে জব্দ করে থানা পুলিশ। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন আসামী গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামীদের কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর কথা জানান। তিনি আরও বলেন কালীগঞ্জে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।