শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও বেরিয়ে আসছে ক্ষত।গত ৪অক্টোবর অভিরাম বর্ষণ আর ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ি ঢলের পানি শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলার ৪নদীর কমে গেলেও বেরিয়ে আসছে ভয়াবহ ক্ষত। এখনো ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শেরপুর সদর উপজেলার ১টি ইউনিয়ন সহ ৯ ইউনিয়নের প্রায় ১৫০গ্রামের মানুষ পানি বন্দি। দেখা দিয়েছে গোখাদ্য্য আর সুপেয় পানির। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে ৩৭ হাজার হেক্টর আমন ধান ও ১ হাজার হেক্টর সবজি ক্ষেত ডুবে গেছে। ডুবে গেছে হাজার হাজার পুকুর। অপরদিকে মহারশি নদীর ৪টি স্থানে ভেঙ্গে গিয়ে বহু কাচা বাড়িঘর সহ বেশ কয়েকটি বাড়ী নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অপরদিকে নালিতাবাড়ী ও ভেগাই নদীর দু’পাশে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এছাড়া গ্রামিন অনেক পাকা ও কাঁচা সড়ক ভেঙ্গে গিয়ে চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা, উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবার ও ত্রাণ দিয়ে আসছে। তবে কিছু কিছু বানভাসি এলাকার মানুষের অভিযোগ, রাস্তার পাশের মানুষগুলোই বার বার ত্রাণ পাচ্ছে। অপরদিকে প্রত্যন্ত এলাকায় যোগাযোগের কোন ব্যবস্থা না থাকায় তারা সব ধরণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তবে শেরপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ড ধারনা করেছে, আগামী দুই একদিন বৃষ্টি না হলে নিন্মাঞ্চলের পানিও নেমে যাবে বলে।