মঙ্গলবার , ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন ও আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আমাদের কথা
  7. আলোকচিত্র (ছবি)
  8. কৃষি ও প্রকৃতি
  9. খেলাধুলা
  10. গণমাধ্যম
  11. গ্রাম বাংলা
  12. জাতীয়
  13. তথ্যপ্রযুক্তি
  14. দেশজুড়ে
  15. ধর্ম

নকলার ছেলে রাসেলের খোঁজ মেলেনি গত ১০ বছরেও, স্বৈরাচারের দুঃশাসনে হয়েছে গুম!

প্রতিবেদক
কালের সকাল নিউজ ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪ ১:৫৭ অপরাহ্ণ

তরুণ টগবগে একটি যুবক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শেষ করেছেন অনার্স ও মাস্টার্স। উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৪ তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায়। তোর জুড়ে চলছে ভাইবার প্রস্তুতি।

গুম হওয়া রাসেলের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শেরপুরের নকলা উপজেলার ধুকুরিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী মো. আমিনুল ইসলামের তিন সন্তানের মধ্যে মেজো ছেলে রাসেল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন তিনি। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেছিলেন প্রথম বিভাগ নিয়ে। ২০১৩ সালে মাস্টার্স শেষ করার পর পড়াশোনা শুরু করে আইন বিভাগে। পড়ালেখা ভালো হওয়ায় তার বাবা-মা স্বপ্ন দেখতেন ছেলে একদিন বিসিএস ক্যাডার হবে।

ছাত্র জীবনে পড়াশোনা পাশাপাশি সে একজন মেধাবী ছাত্রনেতা ছিলেন। তৎকালীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। তবে তার নামে একটাও মামলা ছিল না। তার ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার পশ্চিম নাখালপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।

গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের এক মাস একদিন আগে ২৫ বছর বয়সী রাসেল নিখোঁজ হয়। যার এখনো খোঁজ মিলেনি। তবে পরিবারের দাবি র‌্যাব-১ তাকে তুলে নিয়ে গেছে। তৎকালে দেশের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় পত্রিকাগুলোতে এই ঘটনায় বেশ কয়েকটি খবর ছাপা হয়। সেই খবরগুলোতে র‌্যাবের পক্ষ থেকে তুলে নেওয়ার ব্যাপারে বারবারই অস্বীকার করা হয়।

রাসেলের গুম হওয়ার সেদিনের ঘটনা বর্ণনা করে তার ছোট বোন নুসরাত জাহান লাবনী বলেন, দিনটা ছিল ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আই ব্লক থেকে ভাইয়ার চার বন্ধুসহ মোট ছয়জনকে তুলে নিয়ে যায় র‌্যাব-১। এ সময় একটি নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের নিচ থেকে তাদেরকে তুলে নেওয়ায় তখনকার কর্মরত শ্রমিকরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ সময় র‍্যাবের পোশাক পরিহিত এবং র‌্যাব-১ এর স্টিকার লাগানো দুটি গাড়িসহ কয়েকটি সাদা গাড়ি তাদের সঙ্গে ছিল। পরবর্তী সময়ে থানায় জিডি করার সময় জিডিতে র‌্যাবের নাম লেখার কারণে তারা জিডি না নিয়ে আমাদের ফিরিয়ে দেন। পরবর্তীতে নিখোঁজ হিসেবে আমরা থানায় জিডি করতে বাধ্য হই।

তিনি আরও বলেন, র‌্যাব-১ তখন বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার না করলেও অস্বীকারও করেনি। তারা আমাদেরকে বলেছে, দেখি নির্বাচনের পরে কী করা যায়। এ ছাড়া আমরা র‌্যাবের দপ্তরে দিনের পর দিন যেতাম। কখনো সকালে যেতাম রাতে আসতাম। তারা আমাদের সঙ্গে কখনো কথা বলত, কখনো কথা বলত না। তৎকালীন র‌্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার ছিল কিসমত হায়াত। কিসমত হায়াত আমাদের একবার তৎকালীন র‌্যাবের ডিজি মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। তখন আমরা বুঝতে পারি ডিজি বলে দিলেই ভাই ছাড়া পাবে। এ ছাড়া মাঝে মাঝেই প্রাইভেট নম্বর থেকে ফোন দিয়ে আমাদের হুমকি দেওয়া হতো। বলতো তোমরা যদি বেশি বাড়াবাড়ি কর তাহলে তাকে মেরে ফেলা হবে।

গুম হওয়া রাসেলের বাবা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে তারেক রহমানের ভালো সম্পর্ক ছিল। বিভিন্ন সময় তারেক রহমানের নির্দেশে সে কাজ করত। এর জন্যেই আমার ছেলে আওয়ামী লীগের টার্গেট হয়েছে। গুম হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ সময় আমি আমার ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেছি। শরীর, মন ও অর্থে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমি কীটনাশকের ছোট একটা ব্যবসা করি। এই ছেলের সন্ধানে ব্যবসা বন্ধ রেখে একটা ব্যাগে কাপড় নিয়ে মাসের পর মাস ঢাকা শহরে বিভিন্ন অফিস আদালতের বারান্দায় কাটিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, তৎকালীন র‍্যাবের ইন্টেলিজেন্স টিমের দায়িত্বে ছিলেন জিয়াউল আহসান। আমি জিয়াউল আহসানের দুই পা জড়িয়ে ধরে কান্না করেছি। এতেও তার মন গলেনি। সে উল্টা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে লাথি মেরেছে। গুম হওয়া মানুষদের জীবিত ফেরত চাই। যদি তাদের মেরে ফেলা হয় তারও ফয়সালা চাই আমরা। গুমের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।

ছেলের বিছানা প্রতিদিন পরিষ্কার করি। ১০ বছর ছেলের বিছানায় কাউকে ঘুমাতে দিইনি। কারণ এই বিছানায় আমার বুকের মানিক এসে ঘুমাবে। আল্লাহর কাছে বলি, তুমি আমাকে ধৈর্য দাও। ছেলে বেঁচে থাকলে ফেরত দাও, না থাকলে সেই খবরটি দাও।’কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন ২০১৩ সালে গুম হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম রাসেলের মা মজিদা বেগম।

এ বিষয়ে নকলা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মাহমুদুল হক দুলাল বলেন, রাসেল ঢাকায় পড়াশোনা ও ছাত্ররাজনীতি করলেও নিয়মিত এলাকার খোঁজখবর রাখতেন। মেধাভিত্তিক ছাত্র রাজনীতির চর্চা করত সে। তাকে নিয়ে আমরা ভবিষ্যৎ রাজনীতির স্বপ্ন দেখতাম। সে ঢাকা থেকে শেরপুরে এসে মাঝেমধ্যেই নকলায় দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করত। আমি বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনার আমলে গুম হওয়া যেসব ব্যক্তির এখানো হদিস পাওয়া যায়নি তাদের আমরা জীবিত ফেরত পাব। সরকারের কাছে রাসেলের সন্ধান চাই এবং জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক।

সর্বশেষ - Uncategorized

আপনার জন্য নির্বাচিত

জাতীয় করণের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে গ্রাম পুলিশ

দৈনিক চন্দ্রকোনা’ প্রতিষ্ঠাতা এডমিন এর বক্তব্য

ফুলপুরে উপজেলা ও পৌর বিএনপির ইফতার মহফিল অনুষ্ঠিত

পরশুরামে বন্যায় দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন রফিকুল আলম মজনু

মমতার কপালে চিন্তার ভাঁজ, মমতা বিরোধী আন্দোলনে রণক্ষেত্র কলকাতা

স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার

নকলায় পুকুরের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু

বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান এমপি র শ্বশুরের ইন্তেকাল

কালীগঞ্জে ইসলামী দলগুলোর মতবিনিময় ও দোয়া মাহফিল

সাগর-রুনি হত্যার তদন্তে ৫০ বছর সময় চাওয়ার ব্যাখ্যা আইনমন্ত্রীর