বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে কালিশ পুনাইল গ্রামের রফিকুল ইসলাম ওরফে রানার বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে দুদিন ধরে অনশনে বসেছেন এক নারী। যার বাড়িতে অনশন করছেন তিনি ওই নারীর সাবেক স্বামীর ভাতিজা। নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নে ঘটেছে এ ঘটনা। বিষয়টি জানাজানি হলে ভিড় করে সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম রানা (৩২) পুনাইল গ্রামের মনসুর হোসেনের ছেলে। তিনি একটি কোম্পানিতে কাজ করেন। রানা তার চাচি, দুই সন্তানের জননী রুমানা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। চাচি ও ভাতিজার প্রেমের খবর জানাজানি হলে ৪ বছর আগে রুমানা ও তার স্বামীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বিচ্ছেদের ৪ বছর পর রুমানা বিয়ের দাবিতে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাড়ি থেকে পালিয়েছেন।
অনশনের বিষয়ে জানতে চাইলে রুমানা আক্তার বলেন, গত ৪ বছর ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বগুড়া শহরে ও নন্দীগ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয় আমাদের। আমার আগের সংসার নষ্ট করেছে বিভিন্ন তালবাহানায়। আমি প্রেমের সম্পর্কে প্রথমে না জড়ালে সংসার ভাঙার হুমকি দিত। এক পর্যায়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমার আগের সংসার টেকেনি।
এ বিষয়ে রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে এ বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেন। একপর্যায়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, আমি বিয়ে করবো না। বিয়ে করতে পারবো না। এর জন্য যদি আমার ফাঁসি হয়, হবে।
এ বিষয়ে ভাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। একজন নারী বিয়ের দাবি নিয়ে অনশন করছে। যদি তাদের মধ্যে সম্পর্ক থাকে বা প্রমাণ থাকে, ছেলের বিয়ে করাই উচিত হবে।