বিতর্ক আর তামিম ইকবাল এই দুই যেন এক সুতোয় গাঁথা। ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে সেই বিতর্কের পর থেকেই জাতীয় দলের বাইরে আছেন দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। সবশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে। চট্টলার খান সাহেবকে এরপর থেকে আর দেখা যায় নি লাল-সবুজের জার্সিতে। তবে জাতীয় দলে ফেরার লক্ষ্যে কাজ করছেন নিজেকে নিয়ে। আগামী মাসের ভারত সিরিজে ক্রিকেটার তামিম ইকবালকে পাওয়া না গেলেও ভিন্ন পরিচয়ে তিনি থাকতে পারেন ভারত সিরিজে।
গুঞ্জন সত্য হলে, আসন্ন ভারত সিরিজে ধারাভাষ্যকার হিসেবে দেখা যেতে পারে তামিম ইকবালকে। দেশের একটি অনলাইন গণমাধ্যমের তথ্যমতে, ইতোমধ্যেই সম্প্রচারকারি প্রতিষ্ঠান স্টারের সঙ্গে আলোচনা চলছে তামিমের। তবে এ বিষয়ে এখনো আসেনি কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। তবে ভারতের মাটিতে সাকিব আল হাসানরা করবেন ব্যাট বলে লড়াই, আর তামিম টিভির পর্দায় সেটি বিশ্লেষণ করবেন, যেকোনো সমর্থকের জন্যেই এমন দৃশ্য পরম আরাধ্যের।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভক্ত সমর্থকদের এমন আশা হতেই পারে পূরণ। কারণ, এর আগেও কমেন্ট্রি বক্সে মাইক্রোফোনের পেছনে তামিম ইকবালকে স্বাচ্ছন্দ্য অবস্থায় দেখা গেছে। তামিম নিজেও একবার বলেছিলেন, ব্যাট বলের ক্রিকেট ছাড়ার পর কাজ করতে চান ধারাভাষ্যকার হিসেবে। তামিম বলছিলেন, ‘আমার মনে হয় না আমি কোচিং লাইনে আসব। তবে কমেন্ট্রি আমাকে একটু টানে। বিশ্বকাপেও কমেন্ট্রি করার প্রস্তাব পেয়েছিলেন বলে জানান তামিম ইকবাল।
গত বিশ্বকাপে কমেন্ট্রি করা না হলেও ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে প্রথম দিনে ধারাভাষ্যকক্ষে ছিলেন তামিম। এবার ভারত সিরিজ দিয়ে পুরোপুরি সেই পথে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জোড় সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। সেক্ষেত্রে এটি হবে তামিম ভক্তদের জন্য, বাড়তি এক পাওয়া।
সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ থেকে ভারতের মাটিতে শুরু হবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কানপুরে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেষ্ট। দুটি টেস্টই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায়। এরপরে ৬ অক্টোবর থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। গোয়ালিয়রেই অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের সবগুলো টি-টোয়েন্টি। প্রথম টি-টোয়েন্টির পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ৯ ও ১২ অক্টোবর। সিরিজের সবগুলো ম্যাচই হবে দিবারাত্রির।