“শেরপুরে হামলা ও প্রাণহানির আশংকায় একটি পরিবার’ শিরোনামে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদে আমাকে ও আমার পরিবারকে জরিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তাহা সম্পুর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গ্রাম্য মাতাব্বগণ আদালতকে উপেক্ষা করে ৭লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে ৭দিনের মধ্যে সমুদয় টাকা পরিশোধের বাধ্যবাধকতা করা হয়েছে। এছাড়া আবু বকর ছিদ্দিকের পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে গৌরীপুর ও রাজনগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এবং উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে ওই শালিসের আয়োজন করা হয়। এতে বিচারকগণ কোন পক্ষকেই জোরপূর্বক কোন দায় চাপাইনি। এছাড়া বিবাহের দাবীতে অনশন করে জোরপূর্বক এই বিবাহ সম্পন্ন হয়নি। বরং দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে আনুষ্ঠানিক ভাবে মোর্শেদা জাহানের বিবাহ হয় হাবিবুল্লাহ’র সাথে। এতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ওই বিবাহের পর থেকেই মোর্শেদা জাহানের উপর তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতন সহ মোটা অংকের যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এতে মোর্শেদা জাহান বাধ্য হয়ে নিজ বাবার বাড়ীতে চলে আসে। পরবর্তীতে মোর্শেদা জাহানের শ্বশুর বাড়ীর লোকজন তার সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে বাধ্য হয়ে মোর্শেদা জাহানের পরিবার আদালতের স্মরনাপন্ন হই। হাবিবুল্লাহ’র বাবা আবু বকর ছিদ্দিক পরবর্তীতে আদালতের মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে থানায় মিথ্যা অভিযোগ সহ সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করায়। প্রক্ষান্তরে আবু বকর ছিদ্দিক একজন মামলাবাজ ও ভুমিদস্যু লোক বটে। তিনি এ পর্যন্ত তার নিকটতম আত্মীয়-স্বজন সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্রায় ডজন খানেক মামলা করেছে। প্রকৃতপক্ষে আবু বকর ছিদ্দিকের দায়ের করা থানার অভিযোগ ও প্রকাশিত সংবাদ পুরোটাই মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
মোর্শেদা জাহানের ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে- মোঃ শহিদুল ইসলাম, পিতা- মোঃ আব্দুল মজিদ,গ্রাম- চাঁদগাঁও, উপজেলা – নালিতাবাড়ী, জেলা- শেরপুর।