স্বৈরশাসনক আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আগস্ট মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২২২ কোটি (২ দশমিক ২২ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ প্রায় ২৬ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা। এ রেমিট্যান্স গত বছরের আগস্ট মাসের চেয়ে ৩৯ শতাংশ বেশি।
আজ পহেলা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, আগস্ট মাসের প্রথম ২৮ দিনে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ২০৭ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের একই সময়ে ছিল ১৪৩ কোটি ১০ লাখ ডলার।
গত ৪ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং ১১ থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত এসেছে ৬৫ কোটি ১৪ লাখ ডলার। এ ছাড়া গত ২০ আগস্ট একদিনেই প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১০৯ মিলিয়ন ডলার। চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ২০ দিনেই দেশে আসা রেমিট্যান্সপ্রবাহ বেড়েছে ৪০৬ মিলিয়ন ডলার বা ৩৬ শতাংশ।
স্বৈরাচার সরকারের আমলের গত জুলাই মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।
এর আগে গত জুলাইয়ে কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সংঘর্ষ, কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের প্রেক্ষাপটে বৈধ পথে রেমিট্যান্সপ্রবাহ কমে যায়। ওই সময় দেশে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠানোর বিষয়ে ক্যাম্পেইন করেন অনেক প্রবাসী। যার প্রভাব পড়েছিল প্রবাসী আয়ে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর আবার দেশ গঠনে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে ক্যাম্পেইন শুরু করেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি। এর ফলে আবারও প্রবাসী আয় বাড়তে শুরু করেছে বলে মনে করেন ব্যাংকাররা।