ভারত রপ্তানি বন্ধ করলেও আগামী রমজানে দেশে পেঁয়াজের সংকট হবে না। কারণ রমজানের সময় বাজারে সরবরাহ বাড়বে দেশীয় জাতের পেঁয়াজের। এমনটাই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ না থাকায় দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। বিশ্লেষকরা বলছেন, উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি সংরক্ষণ ব্যবস্থা উন্নত করা গেলে দেশে পেঁয়াজের সংকট পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব।
এদিকে গত ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রেখেছে ভারত। ফলে বাজারে এই মুহূর্তে দাম বেশ চড়া। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সপ্তাখানেক আগে পেঁয়াজের দাম ৭০ থেকে ৭৫ টাকা থাকলেও এখন ৯০ থেকে ৯৫ টাকা।
অন্যদিকে, দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের মওসুম প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিছুদিন পরই বাজারে আসবে হালি পেঁয়াজ। পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, আবহাওয়া ঠিক থাকলে এবং উৎপাদন ভালো হলে পেঁয়াজের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে থাকবে। এ বছর যে পরিমাণ পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে ভারত পেঁয়াজ না দিলেও সমস্যা হবে না।
একই কথা বলছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, আশা করি দাম নিয়ে বেশি একটা হৈচৈ হবে না। কারণ ফেব্রুয়ারির পর আমাদের উৎপাদিত যে পেঁয়াজ বাজারে আসবে সেটা রমজান এবং কোরবানি পর্যন্ত চালিয়ে নেওয়া যাবে। তবে আমদানিকারকরা বলছেন, পেঁয়াজের দাম কমাতে এই মুহূর্তে আমদানি করা পেঁয়াজের বিকল্প নেই।
পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নত করার পরামর্শ বিশ্লেষকদের। অর্থনীতিবিদ সায়েম আমীর ফয়সল বলছেন, ভারত থেকে কেন পেঁয়াজ আমদানি করে আনতে হবে? আমাদের নিজেদের পর্যাপ্ত পরিমাণে কৃষক এবং কৃষি জমি রয়েছে। কোল্ড স্টোরেজের পাশাপাশি মজুত করে উৎপাদন বৃদ্ধির যে কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা সেটি বাস্তবায়ন করা উচিত।