মো: জাফর আহাম্মদ (৫২) পেশায় একজন টমটম চালক ছিলেন। পরিবারে স্ত্রী,এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।একমাত্র উপার্জন ক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পাগল প্রায় তার স্ত্রী আছিয়া বেগম।স্বামী কে হারানোর ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও কেউ খোঁজ নেয়নি তাদের। গরীব বলেকি তাদের সমাজে কোন দাম নেই। কি দোষ করেছিল আমার স্বামী।তাকে এভাবে নির্মমভাবে পিটিয়ে,কুপিয়ে হত্যা করল তারা। এভাবেই প্রতিনিয়ত স্বামীর ছবি বুকে নিয়ে কেঁদে কেঁদে বুক বাসাচ্ছেন আর আত্মবিলাপ করছেন।তাঁর মেয়ে সোনিয়া বলেন,আমার আব্বু ৫ আগষ্ট সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে যান।ওই দিন তিনি টমটম চালায়নি।বাসা থেকে বের হবার সময় আমাকে বলে সোনিয়া আমি টাউনে যাচ্ছি পান আনতে।দুপুর ঘড়িয়ে সন্ধ্যা হল আব্বু বাসায় ফিরেনি।পরে আমার আব্বুর লাশ রাতে ফেনী সদর হাসপাতালে পাওয়া যায়। কেবা কারা মারল আমার আব্বুকে আমরা এখনো পর্যন্ত সঠিক খবর জানতে পারিনি। আমরা এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই।জাফরের ছোট ভাই মনির বলেন,ওইদিন বিকেলে ভাবি জানায় ভাইয়া বাসায় ফিরেনি।তখন আমি অনেক খোঁজা খুজি করেছি।কিন্তু কোথাও পায়নি।আমি ভাবিকে বলেছি আপনি কোন চিন্ত করবেন না ভাইয়া চলে আসবে।পরে রাত ৮টার দিকে আমাদের এক আত্মীয় ফোন করে বলে তোমার ভাইয়াকে কেবা কারা কুপিয়েছে উনি সদর হাসপাতালে আছে।আমি রাত ৯টার দিকে হাসপাতালের নতুন ভবনের তিন তলায় গিয়ে দেখি ভাইয়ার পুরো শরীর রক্তে ভেজা।মাথায় বেন্ডেজ দিয়ে মোড়ানো ছিল।নাকে অক্সিজেন লাগানো।তখন ভাইয়ার বুক নড়ছে শুধু সেখান কার ডাক্তাররা বলেন উনাকে দ্রুত ঢাকা অথবা চট্টগ্রামে নিয়ে যেতে।আমি নিচে এ্যাম্বুলেন্স এর জন্য গেলে ভাইয়া মারা যায়।আমরা রাত সাড়ে ১১টার দিকে লাশ বাড়িত নিয়ে যাই।পরদিন ৬ আগষ্ট সকাল ১১টায় জানাজা শেষে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।পরিবার ও এলাকাবাসী জাফর হত্যার বিচার চেয়েছেন।জাফর ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের ফতেহপুর মমিন টেইলার বাড়ির ওবায়দুল হক মুন্সীর বড় ছেলে।সে ফেনীর নাজির রোডে একটি কলোনিতে ভাড়া বাসায় থাকতো।সে জীবদ্ধশায় টমটম চালিয়ে সংসার চালাতো।চলতি মাসের ৫ আগষ্ট সরকার পতনের আন্দোলনের দিন দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।বর্তমানে তার পরিবার অসহায় জীবন যাপন করছে।যদি কেউ জাফরের পরিবার কে আর্থিক ভাবে সহায়তা করতে চান ০১৮২৯- ০৪১১৫৬ নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।