বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে বাজেট পরবর্তী নীতি সংলাপে আমন্ত্রিত অতিথিরা বক্তব্য বলেন। এসময়ে সংলাপে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি, দুইবারের জিএস বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গাজীপুর ৫ আসনের সাংসদ সদস্য জনবান্ধাব নেতা আখতারুজ্জামান এমপি বলেন: সিকেরেটের নিকোটিন মানব দেহের জন্য অত্যান্ত ক্ষতি কর,তাই আসুন আমরা সকল মিলে এই ক্ষতিকর নিকোটিন তেকে দুরে থাকি,আমাদের দেহকে সুস্থ রাখি,বাজেটে সিকেরেটের দাম ও কর আরো বৃদ্ধি করা প্রযোজন ছিল। এসময়ে সংলাপে উপস্থিত হয়ে দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদেরা বক্তব্য রাখেন :বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটস অধ্যাপক ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘উন্নয়ন সমন্বয়াক-এর সভাপতি ড. আতিউর রহমান বলেছেন, সিগারেটের দাম বৃদ্ধিতে ‘বিগ পুশ’ দরকার। অল্প করে করে দাম বাড়ানোর ফলে সিগারেটের বিক্রি না কমে বরং বেড়েছে। সিগারেটের কর ও দাম দুই-ই বাড়াতে হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে সিগারেটে কার্যকর করারোপ বিষয়ে উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত বাজেট পরবর্তী নীতি সংলাপে তিনি এ সব কথা বলেন।আতিউর রহমান বলেন, মধ্যম স্তরের সিগারেট ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছরে বিক্রির পরিমাণ বছরে ১ দশমিক ৪ শতাংশ হারে বেড়েছে। অল্প অল্প করে দাম বাড়ানোর ফলে সিগারেট বিক্রি কমে না বরং বেড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সিগারেট বিক্রি হয়েছিল মোট ৬৭ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন শলাকা। পরবর্তীতে প্রতিবছর গড়ে ৪ শতাংশ করে ২০২৩-২৪ অর্থবছর নাগাদ সিগারেট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৯ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন শলাকা।আতিউর রহমান আরও বলেন, সিগারেটে করারোপের সাম্প্রতিক বছরগুলোর ধারা বিবেচনায় নিলে নতুন অর্থবছরে সব স্তরের সিগারেটের দাম অল্প করে হলেও একযোগে বাড়ানো এবং সব স্তরের সিগারেটেরই সম্পূরক শুল্ক হার একযোগে বৃদ্ধি করাকে স্বাগত জানাতেই হয়। তবে একই সঙ্গে এটাও স্পষ্ট যে, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দামবৃদ্ধি না করায় সিগারেট সহজলভ্য হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এবং কার্যকর হারে করারোপ না করায় সরকার প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সর্বোপরি, সিগারেট ব্যবহারের হার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় কমিয়ে আনা এবং সিগারেট ব্যবহারজনিত মৃত্যু ঠেকানোর সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগানো হয়নি। এসময় বিশিষ্ট এ অর্থনীতিবিদ জাতীয় সংসদ ধূমপানমুক্তকরণ ও সিগারেটের বাজেটে করারোপ বৃদ্ধি ও দাম বাড়ানোর বিষয়ে পর্যালোচনা করার প্রস্তাব করেন।সংলাপে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, সিগারেটের রাজস্ব থেকে যা আয় হয়, তার থেকে স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় হয় অনেক বেশি। স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সিগারেট যে খায়, শুধু তার ক্ষতি না, তার আশেপাশের মানুষকেও ধ্বংস করে।সংলাপে সংসদ সদস্য আখতারউজ্জামান ও আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং নারী সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন ও অপরাজিতা হক, সিটিএফকে’র লিড পলিসি এডভাইজার এবং বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানসহ অনেকে বক্তব্য দেন। সংলাপের শুরুতে প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাদভী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন হেড অব প্রোগ্রামস শাহীন উল আলম সহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি গন উপস্থিত ছিলেন।