মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট শিশু গড়ে তুলতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) শিশুদের সমন্বিত ইসিডি সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২৭১ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু-যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার সুবিধা প্রদান প্রকল্পের’ ব্রিজিং লিডারশিপ ইনিশিয়েটিভের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণলায়ের সচিব নাজমা মোবারকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনারগোস গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ার মিস. পেগি ডুলানি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে, নতুন পথরেখা তৈরি করতে হবে এবং মানবিক গুণাবলি জাগ্রত করতে হবে। এই প্রকল্পটি যেমন কমিউনিটি পর্যায়ে নারীদের কর্মসংস্থান গড়ে তুলবে তেমন শিশুদের মানসিক ও শারীরিকভাবে গড়ে তুলতে সহয়তা করবে।
সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু-যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার প্রকল্পটি ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ২ শত ৭১ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা। যেখানে বাংলাদেশ সরকার ২ শত ১৭ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা এবং ইউনিসেফ ৫৪ কোটি ২১ টাকা ব্যয় করছে। এ প্রকল্পে বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে রয়েছে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রোপিজ এবং রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিটিউট (RNLI)।
এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ, শিক্ষা এবং যত্ন প্রদান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে শিশুর সার্বিক বিকাশ, নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস করা।
আইসিবিসি প্রকল্প থেকে দিনের সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে ৫ বছরের নিচের বয়সী শিশুদের বিকাশ উপযোগী সেবা প্রদান; ১ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুর জন্য কেন্দ্রভিত্তিক সমন্বিত ইসিসিডি সেবা প্রদান, ৬ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের নিরাপদ সাঁতার শিক্ষা প্রদান, ইসিসিডি বিষয়ে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার সামর্থ্য বৃদ্ধি করা; শিশুর বিকাশ ও সুরক্ষার সর্বোত্তম পরিকল্পনা এবং সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।