শেরপুরে ক’দিন থেকে বাড়ছে উজানের পানি। এতে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পৃথক দু’টি স্থানে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ফলে সদর উপজেলার ৬নং ও ৭ নং চরের ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ একটি গ্রামীণ বাজার এখন ভাঙনের মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে স্থানীয়রা তাদের ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন এর আশঙ্কায় অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।স্থানীয়রা জানান, ক’বছর যাবত শেরপুর সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের ৬ নং চরের ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙনে দু’পাড়ের মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে। নদী ভাঙনে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে শতাাধিক পরিবার। পার্শ্ববর্তী ৬ নং চরের বাসিন্দারা নদী ভাঙনের কবলে পড়ে সরিয়ে নিচ্ছে ঘরবাড়ি। স্থানীয়রা বাঁধ নির্মাণের দাবি করলেও তা আজো বাস্তবায়ন হয়নি।জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে উজানের পানি নেমে ভাটি অঞ্চলে বাড়ছে বন্যার আশংকা। এতে নদী ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান খান জানান, শেরপুরে কয়েকটি নদীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙ্গন এলাকার খোঁজখবর নিচ্ছেন। তিনি বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন। এছাড়াও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে অনুমোদন পেলেই ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নদী ভাঙন বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিবে সরকার। ভাঙনের ছোবল থেকে রক্ষা পাবে নদীর দু’পাড়ের বাসিন্দারা। এমনটাই প্রত্যাশা করছেন স্থানীয় সচেতন মানুষরা।