শনিবার , ৬ জুলাই ২০২৪ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন ও আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আমাদের কথা
  7. আলোকচিত্র (ছবি)
  8. কৃষি ও প্রকৃতি
  9. খেলাধুলা
  10. গণমাধ্যম
  11. গ্রাম বাংলা
  12. জাতীয়
  13. তথ্যপ্রযুক্তি
  14. দেশজুড়ে
  15. ধর্ম

‘কাঁঠাল যেন সর্ব রোগের মহৌষধ, কাঁঠালের ১০টি কোষের গুণাগুণ একটি ভিটামিন এ ক্যাপসুলের সমতুল্য!

প্রতিবেদক
কালের সকাল নিউজ ডেস্ক
জুলাই ৬, ২০২৪ ৪:০৩ পূর্বাহ্ণ

কাঁঠাল বাংলাদেশর জাতীয় ফল। অনান্য দেশের তুলনায় এই ফল বাংলাদেশে খুবই সহজলভ্য এবং তুলনামূলক অনেক সস্তা। সাধারণত বাংলাদেশের আবহাওয়া কাঁঠাল খুবই উচ্চ ফলনশীল, যার ফলে প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হয়।

বাংলাদেশে পাকা কাঁঠাল মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ ( জৈষ্ঠ্য মাসের প্রথম সপ্তাহে) প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই পাকা ফল খেতে খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ।

এটি এমন একটি ফল, যে ফলের কোষ, বিচি, খোসা সবই খাওয়া যায়। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি এই ফলে লুকিয়ে আছে বিভিন্ন রোগের ওষুধ।

বাংলাদেশের আবহাওয়া গরমের সময় এই ফলটি পাকতে শুরু করে। তার বর্ষায় কাঁঠাল হয়ে ওঠে রসালো ও সুমিষ্ঠ। তাই বাড়িতে মুড়ির সঙ্গে কাঁঠাল খাওয়ার সবচেয়ে সেরা সময় হতে পারে মেঘলা আকাশের দিনটি।

১। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে কাঁঠালে। এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।

২। ফাইবারের ভালো একটি উৎস কাঁঠাল। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয় নিয়মিত কাঁঠাল খেলে।

৩। আলসারের সমস্যা প্রাকৃতিক উপায়ে কমাতে সাহায্য করে কাঁঠালে থাকা এক ধরনের উপকারী উপাদান।

৪। বেশ কয়েক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস কাঁঠাল। এসব উপাদান হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

৫। কাঁঠালে থাকা পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এতে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।

৬। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি মেলে কাঁঠাল থেকে। নিয়মিত ফলটি খেলে তাই ত্বক ভালো থাকে ও ত্বককে রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দূরে রাখা যায়।

৭। অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে কাঁঠাল খেলে। ফলে অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে দূরে থাকা যায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৮। বেশ কয়েক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস কাঁঠাল। এসব উপাদান হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

৯। ক্যানসারের ঝুঁকি কমে কাঁঠাল খেলে। কারণ কাঁঠালে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহকে ক্ষতিকর ফ্রির‌্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে।

১০ । শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে কাঁঠালে থাকা ভিটামিন সি।

১১। কাঁঠালে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি হাড় শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে।

১২। আয়রন মেলে ফলটি থেকে। এই খনিজ উপাদান রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।

কাঁঠালের ১০টি কোষের গুণ একটি ভিটামিন এ ক্যাপসুলের সমতুল্য। কাঁঠাল ফাইবার সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় এটি হজমশক্তি বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার রাখে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়কে করে তোলে আরও মজবুত।

সর্বশেষ - Uncategorized