অন্তর্বর্তী সরকার ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রতিটি গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। ২০০৭ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৬২৯ জন গুমের শিকার হয়েছেন বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিচার বহির্ভূত জোরপূর্বক গুম থেকে সব নাগরিকের সুরক্ষা এবং শেখ হাসিনার শাসনামলে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান ও শনাক্তেরও দাবি জানানো হয়েছে।অন্তর্বর্তী সরকারের নৈতৃত্বে আন্তর্জাতিক সনদে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করায় সাধুবাদ জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাটি।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট ২০২৪) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানিয়েছে, গুমের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে লাশ উদ্ধার হয়েছে ৭৮ জনের। অপহরণের পর ছেড়ে দেওয়া হয় ৫৯ জনকে এবং পরর্বর্তী সময়ে ৭৩ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। বাকি ব্যক্তিদের এখনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। গত ২৭ আগস্ট আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে তদন্ত করে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) মনে করে, সমাজে যে ভীতি এবং দায়মুক্তির অপসংস্কৃতি তৈরি হয়েছিল গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর এবং এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে সেই অপসংস্কৃতি থেকে উত্তরণে একটি দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিচার বহির্ভূত নিরপরাধ মানুষকে গুমের মতো অমানবিক অভিযোগ উত্থাপনের শুরু থেকেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়মিতভাবে ও নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এ সব দাবি জানিয়ে আসছিল আসক। আসক বিশ্বাস করে, নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে এটি নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) আরও জানায়, জোরপূর্বক গুম থেকে সব নাগরিকের সুরক্ষা এবং গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, শনাক্ত ও জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। গুম সংক্রান্ত অভিযোগ দায়েরের জন্য অন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে ব্যবস্থা নিতে হবে।