গাজীপুরের কালীগঞ্জে নিখোঁজের ১৫ বছর পর ওয়ারিশ আবেদনে স্বাক্ষর দিয়ে সেনপাড়া মৌজায় ৮৩. ৩২ শতক জমি নামজারি ও জমা ভাগ গ্রহন করেছে একটি প্রতারক দল।
ওয়ারিশ সনদে আবির্ভাব হয়ে স্বাক্ষর দেখিয়ে প্রতারনার ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নাগরী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে।
অভিযোগে জানা যায়, ২০০৯ সালে নাগরী ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামের মৃত মোতালিব মিয়ার ছেলে আফাজ উদ্দিন নিখোঁজ হয়।
এ বিষয়ে গত ৩ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে কালীগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ জিডি দায়ের করেন তারই ছোট ভাই সাদেক মিয়। যার নং- ৭৯/০৯ ইং এবং নাগরী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যন সিরাজ মিয়া বিগত ২৪ মে ২০১২ তারিখে নিখোঁজ ব্যাক্তির নামে একটি প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করেন।
জানা যায়, নাগরী ইউনিয়ন পরিষদে গত ২১ আগস্ট ২০২৪ ইং ওয়ারিশ সনদের আবেদন করার পর ২৮ আগস্ট ২৪/২৫ অর্থ বছর তারিখে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সদস্য রোকসানা বেগমের স্বাক্ষরে ওয়ারিশ সনদ প্রদান করেন ওলিউল ইসলাম অলি চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে গাজীপুর অতিরিক্ত বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেড আদালতে একটি পিটিশন মোকদ্দমা দায়ের করেন। যার নং-৭৬/২০১২ ইং। পরে বিজ্ঞ সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত (৩) এ একটি সিআর মোকদ্দমা দায়ের করেন যার নং ১৬৫/২০১৮ ইং।
এমতাবস্থায় খোজ নিয়ে ওযারিশ আবেদনে দেখা যায় যে, নিখোজ ব্যাক্তির স্বাক্ষর রয়েছে।
নিখোজ এর ভাই সাদেক বলেন, নাগরী ইউনিয়ন পরিষদ নিখোঁজ ব্যাক্তির প্রত্যয়ন পত্র দেয়ার পর কিভাবে ওয়ারিশ সনদ প্রদান করা হয়? তা জানতে পরিষদে গেলা কোন তথ্য দিতে অপারগতা জানায়।
পরে নামজারি ও জমাভাগ আবেদন পত্রে নিখোজ ব্যাক্তির নাম জাল সাক্খর করেন আনোয়ার হোসেন হাতেম নিজেই। এর ফলে বাদী পক্ষ আর্থিক ভাবে বিরাট ধরনের ক্ষতি সাধিত হয়।
নাগরী ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সংসদ্য স্বাক্ষরের ফলে মূল প্রতারক সেনপাড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন নিখোঁজ ব্যাক্তির জাল ( হাতেম) স্বাক্ষর করেন এবং নিজেই ওয়ারিশ সনদে সাক্ষী প্রদান করেন। এতে সাক্ষী হিসেবে সেন পাড়া গ্রামের মৃত: ছবদর আলীর ছেলে মো: কবির সাক্ষার করেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য রোকসানা আক্তার জানান, এ বিষয়ে আমি কোন স্বাক্ষর করি নাই। তবে আবেদনে স্পষ্ট স্বাক্ষর মিল রয়েছ।
অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।