বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রলীগের নৈরাজ্যৈর বহিঃপ্রকাশ ঘটে এবং তাঁরা পুলিশের সাথে একাত্মতা পোষণ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পরে গণহত্যা চালিয়েছে, সেই থেকেই যেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের চোখে রাগ ও ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
গত সোমবার রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগ নেতা ডা. মোস্তফা জামান লাবিবের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তিনি বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের রাজশাহী মহানগর শাখার প্রচার সম্পাদক পদে আছেন।
সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় তাকে বেধড়ক মারপিট করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকার সুবাদে সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাধারণ ছাত্রদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে হুমকি দেওয়ার জেরে এটি ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগী ডা. লাবিবের মা অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলেকে অনৈতিকভাবে মারধর করা হয়েছে এবং উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। আমার ছেলের একটি হাত ভেঙে গেছে এবং শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে ছেলেকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এটা মোটেও আশা করিনি।
তবে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, লাবিব চলমান ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ওইদিনও কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হত্যার হুমকি দেন ও মারধর করেন। পরে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা নির্যাতন ও হুমকির প্রতিশোধ হিসেবে তাকেও গণপিটুনি দেয়।
সাধারণত শিক্ষার্থীদের দাবি, লাবিব তাদের আন্দোলন দমন করতে প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজশ করছিলেন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছিলেন। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তার ওপর চড়াও হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর জানান, এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে থানায় কোনো মামলা বা অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে কোনো ব্যক্তি অভিযোগ করলে পুলিশ অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।