স্বামীকে হত্যার পর ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে নড়াইলে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে।
গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঘরের মধ্যে পুতে রাখা শিমুল গাজীর (৪০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের কাইজদাহ গ্রামে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী পলি বেগম ও প্রতিবেশী আজাদ শেখকে আটক করেছে পুলিশ ।
স্ত্রীর হাতে নিহত শিমুল গাজী যশোরের অভয়নগরের শ্রীধরপুর গ্রামের মৃত আবদুল্লাহ গাজীর ছেলে, পেশায় তিনি একজন কৃষক ছিলেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,নিহত শিমুল গাজী দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে শেখহাটি ইউনিয়নের কাইজদাহ গ্রামের বসবাস করতো। ২ সেপ্টেম্বর শিমুল নিখোঁজ হয়। শিমুলের ছোট ভাই ইমরুল ইসলাম নিখোঁজ বিষয়টি জানার পর অভয়নগর থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করে। পরে তার ভাই যেখানে বসবার করতো সেখানের শেখহাটি পুলিশ ফাঁড়িতে নিখোঁজ অভিযোগ জানান। শেখাটি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দেবার দু’দিন পর সোমবার তার ভাবী পলি বেগমের সাথে কথা বলতে যায়। তথন ঘরের মধ্যে এক কোনায় নতুন মাটি দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশ ফাঁড়িতে এসে কর্তব্যরত পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘরের মাটি খুঁড়ে শিমুলের লাশ উদ্ধার করে।
স্ত্রীর হাতে নিহত শিমুলের ভাই ইমরুল ইসলাম জানান,ধারণা করা হচ্ছে ভাবী পলির সাথে ভাই শিমুলের বন্ধু ঘের ব্যবসায়ী আজাদ শেখের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। রাত ৯-১০ টা পর্যন্ত তারা একসাথেই থাকতো। তিনি ভাই হত্যার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্থানীয় শেখাটি ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বলেন, পলি বেগম তার স্বামী শিমুল গাজীকে হত্যা করে নিজের ঘরের মধ্যে মাটি ও বালুর বস্তা দিয়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখে। পলি স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে সে পুলিশকে জানিয়েছে এবং এ সময় প্রতিবেশী আজাদ শেখ (৪০) তাকে সহায়তা করেছে বলে জানান।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ময়না তদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শিমুলের স্ত্রী পলি বেগম ও প্রতিবেশী আজাদ শেখকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।