সংসার সুখি হয় রমনীর গুনে, আবার সংসার ধংস হয় সেই রমনীরি গুনে। নারী নির্যাতনের আদালত থাকলেও পুরুষ নির্যাতনের আদালত নেই এই বাংলায়। কত শত পুরুষ নির্যাতনের শিকার হয় তার কুল কিনারা নেই, কেউ নিরবে নিভৃতে সহ্য করে আবার কেউ সহ্য করতে না পেরে নিজের জীবন বলিদান দিয়ে দেয়। আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বরগুনার আমতলী উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্ত্রীর অত্যচারে অতিষ্ঠ হয়ে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে নজরুল ইসলাম নামের এক শিক্ষকের।নজরুল ইসলাম আমতলী সদর ইউনিয়নের উত্তর টিয়াখালী ছোবাহান বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামের মো. খালেক খাঁনের ছেলে নরজরুল ইসলামের সঙ্গে দের বছর আগে একই গ্রামের দুলাল ভুইয়ার মেয়ে খাজিদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছিল। ওই দম্পতির এক বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়।
শুক্রবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর কলহের জেরে শনিবার সকালে খাজিদা বেগম তার ভাসুর ফেরদৌস খাঁনকে বলেন, ‘আমি বাবার বাড়ি চলে গেলাম। আপনার ভাই আমাকে মারধর করেছে।’ এ কথা বলে খাজিদা বেগম বাবার বাড়ি চলে যান। পরে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে স্থানীয়রা শিক্ষক নজরুল ইসলামকে একটি আম গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। নিহতের বড় ভাই ফোরদৌস খাঁন বলেন, আমার ভাইকে তার স্ত্রী বিয়ের পর থেকেই নানাভাবে নির্যাতন করছে। তার নির্যাতন সইতে না পেরে আমার ভাই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আমি ভাইয়ের হত্যাকারীর শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। নজরুলের পরিধানের কাপড়ে পেঁচানো একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম’।