স্বৈরাচার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে একতরফা নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাকিব আল হাসান।গত কিছুদিন আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে সরকার প্রধান, মন্ত্রী, এমপি ও উর্ধ্বতর সরকারি আমলাদের নির্দেশে শান্তি পূর্ণ সমাবেশে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মর্মান্তিক হত্যাযোগ্য চালান পুলিশ। আন্দোলনে সফল হয় ছাত্ররা এবং স্বৈরাচারের পতন ঘটে। এখন একের পর এক হত্যা মামলার ধারাবাহিকতায় গার্মেন্টসকর্মী রুবেলকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) গার্মেন্টসকর্মী রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছন। সাকিব আল হাসানকে মামলার ২৮ নম্বর এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে।
মামলার ২৮ নম্বর আসামির ঠিকানা লেখা রয়েছে মো.সাকিব আল হাসান, সাবেক সংসদ সদস্য, পিতা: মাশরুর রেজা, সাং-সাহাপাড়া, নতুন বাজার, ডাকঘর: মাগুরা।
গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যার ঘটনায় মামলার বাকি আসামিরা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৬ জন। এ ছাড়া অজ্ঞাত ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় আসামির তালিকায় দল হিসেবে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকলীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ, মৎসজীবী লীগের নামও রয়েছে।
ডিএমপির আদাবর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিংরোডে প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেয়। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ ও প্রত্যক্ষ মদদে কেউ মিছিলে গুলি ছুড়ে। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসারত অবস্থায় ৭ আগস্ট মারা যান।
উল্লেখ্য, সাকিব আল হাসান দ্বাদশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে মাগুরা-১ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে রয়েছেন।