পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার, বড় বড় কোন দলই প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন না পাওয়ায় সরকার গঠন করতে বেগ পেতে হচ্ছে সব দলকে।জোট গঠনের মাধ্যমে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ছুটতে হচ্ছে ছোট ছোট দলের কাছে, দফায় দফায় হচ্ছে বৈঠক।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের পর কেন্দ্র, পাঞ্জাবে এবং খাইবার পাখতুনখাওয়ায় প্রদেশে সরকার গঠনকে সামনে রেখে কৌশল ঠিক করতে বিশেষ কমিটি গঠন করেছে কারান্তরীণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
এক বিবৃতিতে দলটি জানিয়েছে, পিটিআই কোর কমিটি বিশেষায়িত কয়েকটি কমিটি গঠন করেছে। কেন্দ্র, পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে সরকার গঠনের কৌশল নিয়ে পরিকল্পনা করতে এসব কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির কাজ হচ্ছে, ওই অঞ্চলগুলোতে সরকারি এবং পার্লামেন্টে অবস্থানের জন্য সুপারিশ করা। আর এই সুপারিশের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও পার্লামেন্টোরি পদের জন্য দ্রুত প্রার্থী মনোনয়ন করতে পার্টির প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হয়েছে বিবৃতিতে।
পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান গহর আলী খান রোববার জানিয়েছেন, তারা জোট করার জন্য পিএমএল-এন বা পিপিপির কাছে যাবেন না।
তিনি বলেন, ওই দুই দলের কারও সঙ্গে আমরা স্বস্তি বোধ করি না তাদের সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করার চেয়ে বিরোধী দলের আসনে বসা ভালো।
গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পার্লামেন্টে ৯২টি আসন পেয়েছে, আর পিএমএল-এন পেয়েছে ৭৯টি ও পিপিপি ৫৪টি।
এ অবস্থায় পিএমএল-এন ও পিপিপির মধ্যে জোট সরকার গঠনে সমঝোতা হলে নির্বাচনী ফলাফলে প্রথম স্থানে থাকা ইমরানের অনুসারীদের ক্ষমতার বাইরেই থাকতে হবে।