শেরপুর জেলার বিভিন্ন এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অপরাধে কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারসহ ২০ জন শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেইসাথে মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও উত্তর আদান-প্রদান ও নকলের দায়ে ২০ জন পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তিন উপজেলার বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
অব্যাহতি প্রাপ্ত শ্রীবরদীর ৫ জন, ঝিনাইগাতীর ৭ জন, নালিতাবাড়ীর ৭ জন ও নকলার ১ জন শিক্ষক।
আর বহিস্কার পরীক্ষার্থীদের মধ্যে নালিতাবাড়ীর ১৮ জন ও ঝিনাইগাতীর ২ জন।
আজ চলমান দাখিলে গণিত বিষয় ও এসএসসিতে ইংরেজি ২য় পত্র বিষয়ে পরীক্ষা চলছিল। নালিতাবাড়ী উপজেলার তারাগঞ্জ ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী স্মার্ট ফোনে ইন্টারনেটে যুক্ত হয়ে প্রশ্নপত্রের ছবি উঠিয়ে বাইরে পাঠিয়ে উত্তর সংগ্রহ করে খাতায় লিখছিলো। পরে ওই পরীক্ষার্থীর মোবাইল হাতে নেওয়ার পর একই মোবাইল থেকে আরও একটি মোবাইলে ওয়াফাই যুক্ত দেখে অন্য পরীক্ষার্থীদের সার্চ করে। এসময় একে একে ১৫ জন পরীক্ষার্থীকে পরস্পর একইভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও উত্তর সংগ্রহ করার প্রমাণ মেলে। মোবাইল ফোন ব্যবহার ও নকলের দায়ে মোট ১৮ জন পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়।
৫জন শিক্ষককে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অন্যদিকে নালিতাবাড়ীর আব্দুল হাকিম স্মৃতি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইংরেজী দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলাকালে গত বছর অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর উল্লেখ করে সিট নির্ধারণ না করায় আরও দুই শিক্ষককে বহিস্কার করা হয়।
শ্রীবরদী উপজেলার আকবরিয়া পাবলিক পাইলট ইন্সটিটিউট কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার করার অপরাধে ৫ শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার শুরুর কিছুক্ষণ পর শিক্ষকদের সার্চ করলে মোবাইল পাওয়া যায়।
ঝিনাইগাতীতে দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্রে শিক্ষকদের উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় এ দন্ডাদেশ প্রদান করা হয়। সচিব, হল সুপার ও ৫ জন শিক্ষককে অব্যহতি, ২ জন শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে।
নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনার রাজলক্ষ্মি উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র থেকে ১ শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রেজুয়ান মুঠোফোনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন