শেরপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলনকারীদের উপর গাড়ী চালিয়ে ছাত্র হত্যা মামলার গাড়ীচালক হারুনুর রশিদ (৫১) ও ছাত্র লীগ নেতা মো. আশিকুর রহমান আশিক (২৭)কে পৃথক মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত গাড়ী চালক হারুন শেরপুর জেলা প্রশাসক অফিসের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বহনকারি সাবেক গাড়ীর ড্রাইভার এবং ময়মনসিংহের কেওয়াটখালি বাইপাস রোডের জয়নাল আবিদিনের ছেলে। অপর আসামী আশিক শেরপুরের সাবেক হুইপ আতিউর রহমান আতিক এর ভাতিজা এবং কামারিয়া ইউনিয়নের বারগড়ীয়া গ্রামের জয়নাল আবদিন তোতার ছেলে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে গাড়ী চালক হারুনকে নিহত ছাত্র সৌরভ,মাহাবুব ও সবুজ হত্যার ৩ মামলায় এবং ছাত্রলীগ নেতা আশিককে ওই তিন ছাত্র হত্যা মামলা সহ ৬ মামলায় রিমান্ডের আবেদন সহ আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর মাহমুদ উভয়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃত ওই দুই আসামীর মামলার নথিগুলো তলবমতে দায়রা আদালতে থাকায় নথি প্রাপ্তি সাপেক্ষে রিমান্ড শুনানির দিন দার্য করা হবে।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট শেরপুরে শান্তিপূর্ণ ভাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলনকারীদের উপর গাড়ী চালক হারুন ছাত্র জনতার উপর দিয়ে ম্যাজিস্টেট বহনকারি গাড়ীটি উঠিয়ে দিলে ঘটনাস্থলেই তিন জন মারা যায়। শান্ত শেরপুরকে অশান্ত করার মূল হুতা এই হারুন। হারুন শেরপুরে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়ে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বদলি হয়ে সেখানে তিনি কর্মরত ছিলেন। শেরপুর থানা থেকে এস আই আনসার আলীর নেতৃত্বে এক দল পুলিশ হারুনকে ব্রাহ্মাণবাড়ীয়া জেলা প্রাশাসক কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করে।