আজ ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গাড়ি চাপায় ও গুলিতে ৩ শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। গত ১২ আগস্ট সোমবার নিহতদের স্বজনরা বাদী হয়ে সদর থানায় ওই দুটি মামলা দায়ের করেন।মামলার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
এর মধ্যে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী সবুজ হত্যা মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের শেরপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ছানুয়ার হোসেন ছানু, শেরপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এডিএম শহিদুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবীর রুমানসহ ২৫ জনকে স্বনামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০/৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া গাড়িচাপায় ২ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩০০/৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এসব মামলায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
গত ৪ আগস্ট শেরপুর শহরের খরমপুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে প্রশাসনের গাড়িচাপায় ও পুলিশের গুলিতে নিহত হন শিক্ষার্থী সবুজ, মাহবুব আলম ও সৌরভ। শিক্ষার্থী সবুজ হত্যা মামলার বাদী হয়েছেন তার বৈমাত্রীয় ভাই মো. সাদ্দাম হোসেন। অপর দুই শিক্ষার্থী মাহবুব আলম ও সৌরভ হত্যা মামলার বাদী হয়েছেন মাহবুবের মা মাফুজা খাতুন।
আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে, শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ওইসব ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।