গেলো ৪অক্টোবর স্মরণকালের ভয়াবহ পাহাড়ি ঢলের বন্যায় যখন দিশেহারা শেরপুর সদর উপজেলা সহ ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী, নকলা ও শ্রীবরদী এলাকার মানুষ। ঢলের পানিতে জেলার সবকিছু মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাড়ায় প্রায় হাজার কোটি টাকা। পাহাড়ি ঢলের খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে পানিবন্দি মানুষগুলোকে সাহায্য করতে প্রশাসনের পাশাপাশি এগিয়ে আসে দেশের বিভিন্ন এলাকার ধনবান, বিত্তবান ও সামাজিক সংগঠনের লোকজন।
ঠিক সেই সময়ে শেরপুর জেলা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সংগঠন “শেরপুর জেলা ছাত্র সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়” মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে বন্যার্তদের পাশে দাড়ায়। তাদের সামর্থনুযায়ী নিজস্ব অর্থায়নে ৪ উপজেলার দুর্গম ও হত-দরিদ্র ৫শত পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করে।
খাদ্য সহায়তার মধ্যে ছিল, ৫ কেজি চাল, ১ কেজি আলু, ১কেজি পেয়াজ, ১ কেজি ডাল, আধা কেজি লবন, আধা লিটার তেল, প্রয়োজনীয় মসলা (হলুদ,মরিচ), দিয়াশলাই, মোমবাতি, স্যালাইন ও স্যানিটারি ন্যাপকিন। বন্যা পরবর্তী পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত জেলার ৫ উপজেলা থেকে বাছাইকৃত অতি দরিদ্র ও অধিক ক্ষতিগ্রস্ত ২৫পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্যে দেয়া হয়েছে নগদ আর্থিক সহায়তা।এছাড়াও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শেরপুরের শিক্ষার্থীদেরও উক্ত সংগঠনের পক্ষ থেকে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।বন্যার্ত ও ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, অত্র সংগঠনের সাবেক সহ-সভাপতি, সামিউল ইসলাম, কামরুল হাসান, আহমেদ ইজতেহাদ রাফি ও রাজ মাহমুদ সহ অন্যান্যরা।
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও সংগঠনটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক, রাফি এই প্রতিনিধিকে জানান, আমরা যাহারা শেরপুর জেলার বাসিন্দা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগে পড়াশোনা করি, আমাদের প্রয়োজনে আমরা শেরপুর জেলা ছাত্র সংসদ নামে একটি সংগঠন করেছি। এই সংগঠনের কাজ হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরপুরের শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করা এবং আর্তমানবতার কাজে এগিয়ে আসা। আমরা আমাদের জেলার যে কোন দুর্যোগের সময় জনসাধারণের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতে থাকবো।