শেরপুর জেলার সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের খামারপড়া গ্রামের বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফরমান বাহিনীর অত্যাচার, মিথ্যা মামলা আর নানা অপকর্মে অতিষ্ঠ মিজানুর রহমান ও তার পরিবার।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও থেমে নেই ফরমান বাহিনীর অত্যাচার আর নিপিড়ন। এরি জেরে গত ১৯ আগষ্ট সোমবার সকাল অনুমানিক ৯ টার দিকে ফরমানের নেতৃত্বে মৃত ফজল হকের ছেলে শান্ত মিয়া(২৭),মো. আলতাব হোসেনের ছেলে মো. ফরহাদ মিয়া(৩৮), মো. ফরমান আলী(৩৪),মৃত, সাইজ উদ্দিনের ছেলে মো. আলতাব হোসেন (৬০)গংরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিজানুর রহমান ও তার মাতা সুফিয়া বেগমসহ অপরাপর ৮ জনকে এলোপাথাড়ি দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত ও যখম করে রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায়আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় আক্রমনকারিরা নির্যাতিতদের ঘরে থাকা আধা ভরি ওজনের একটি গলার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে গত ২২ আগষ্ট ফরমান সহ ৬ব্যক্তিকে স্বনামে আসামী করে সতর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে ফরমান গংরা নির্যাতিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী ফরমান গংদের বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসীরা জানান, নির্যাতিত ব্যক্তিদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে নাটকীয় ভাবে ওই আওয়ামী লীগ নেতা ফরমান নিজেই নিজের মাথা ব্লেড দিয়ে কেটে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে টাকার বিনিময়ে ছাব্বিশেরসার্টিফিকেট তোলার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠছে।
এই মারামারি রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ফরমান গংরা ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নির্যাতিত ব্যক্তিদের উপর আবার চড়াও হয়। সেইসাথে থানায় দায়ের করা মামলাটি তুলে নিতে হুমকি প্রদান করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান জানান, “আমি ও আমার পরিবার ফরমান বাহিনীর এহেন কর্মকান্ডের বিচার চাই।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম এ ব্যাপার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।