শেরপুরে চাঁদাবাজির মামলায় ভেলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। ২৮ আগস্ট বুধবার দুপুরে জামিন প্রার্থনা করে আদালতের হাজির হলে শেরপুরের (শ্রীবরদী) জিআর আমলী আদালতের বিচারক মো. নূর-ই-জাহিদ এই রায় দেন। গত ২২ আগষ্ট শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়ের করেন মো. আরমান খন্দকার নামের এক যুবক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার শহিদুল ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভেলুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম নানা সময়ে সরকারি টিউবওয়েল, বয়স্ক ভাতার কার্ড, মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড সহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা প্রদানের জন্য বিভিন্ন মানুষের কাছে অগ্রিম টাকা গ্রহন করে। কিন্তু কার্ড না দেয়ায় পরেও এলাকাবাসী প্রতিবাদ করার সাহস পেতো না। তবে বর্তমান সরকার শ্রীবরদী উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সরিয়ে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগের খবর পাওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এলাকাবাসী। এর জের ধরে লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যান কাছে টাকার দাবিতে আন্দোলন করে।
এ ঘটনায় আরমান খন্দকার নামে এক যুবককে উস্কানিদাতা হিসেবে ধারনা করে তার মাছের প্রজেক্টে হামলা ও লুটপাট করে এবং দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন চেয়ারম্যান আব্দুল করিম। এসময় চেয়ারম্যানের লোকজনের হামলায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। পরে এ ঘটনায় ২২ আগস্ট শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়ের করে আরমান খন্দকার। যার নাম্বার-৬। পরবর্তীতে আদালতে হাজির হলে কারাগারে পাঠায় আদালত।
মামলার বাদি মো. আরমান খন্দকার বলেন, চেয়ারম্যান অত্যন্ত নিম্ন মনের একজন মানুষ। সাধারণ গরিবকে ঠকিয়ে সে টাকা পাহাড় করেছে। দুস্তদের সকল সুবিধা সে টাকার বিনিময়ে করেছে। আমার কাছে সে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। আমার মৎস প্রজেক্ট ভাঙচুর করেছে। আদালত তাকে জামিন না দেওয়ায় আমি খুব খুশি হয়েছি। আশা করি আমি ন্যায়বিচার পাবো।
এ বিষয়ে বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহীন বলেন, চাঁদাবাজির মামলায় করিম চেয়ারম্যান জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। পরবর্তী সুনানিতে আমরা ন্যায় বিচারের জন্য আদালতকে আবার অবগত করবো। আশা করি ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত হবে।
এ ব্যাপারে শেরপুর কোর্ট পরিদর্শক খন্দকার শহিদুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে আব্দুল করিম কে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।