শেরপুরের নকলা উপজেলার টালকী ইউনিয়নের মজিদবাড়ী এলাকায় রুমানা আক্তার (১৫) নামের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার করেছে। সে মজিদবাড়ী এলাকার ওসমান মিয়ার মেয়ে এবং স্থানীয় নয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলো।
নিহতের পরিবারের সূত্রে থেকে জানা গেছে, রুমানা আক্তার প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাতে পরিবারের লোকজনের সাথে রাতের খাবার খেয়ে তার নিজের শয়ন কক্ষে ঘুমাতে যায়। শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠতে অস্বাভাকি দেরি দেখে পরিবারের লোকজন রুমানার শয়ন কক্ষে গিয়ে দেখেন সে গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরের শারকের সাথে ঝুলে আছে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেন।
টালকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাফফর মহিউদ্দিন বুলবুল আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওসমান মিয়ার মেয়ে রুমানা আক্তার মেধাবী ও শান্ত স্বভাবের ছিলো। সে কেন আত্মহত্যার মতো এমন ঘটনা ঘটালো তা বুঝা বা বলা মুশকিল। পুলিশি তদন্তে আত্মহত্যার আসল কারন জানা যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলার টালকী ইউনিয়নের মজিদবাড়ী এলাকায় গলায় ফাঁস দিয়ে এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। সুরতহাল রেকর্ট করে বিষয়টিকে প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে সে কেন আত্মহত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি। এবিষয়ে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে ওসি হাবিবুর রহমান তিনি জানান।