শেরপুরের নকলা উপজেলা শহরের হলপট্রি একটি চারতলা ভবনের এক ফার্মেসিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আরও দুটি দোকান, একটি ঔষধের গোডাউন ভস্মীভূত হয়। এতে প্রায় কোটি টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীর। অগ্নিকান্ডে আহত হয়েছে ২ জন এবং প্রাণে বেঁচেছে ৪০ ছাত্র শিক্ষক।
স্থানীয়রা জানান, নকলা বাজারের হলপট্রি এলাকায় একটি চারতলা ভবনে কাজল মেডিকেল হল, তার একটি ঔষধের গোডাউন, কামালের মনোহরি দোকান রয়েছে। একই ভবনের ওপরের তলায় নূরে মদিনা মডেল মাদ্রাসা অবস্থিত। গতকাল রাতে কাজল মেডিকেল হলের মালিক কামরুজ্জামান কাজল ও মনোহরি দোকান মালিক কামাল মিয়া দোকান বন্ধ করে চলে যায়। এরপর রাত আড়াইটার সময় কাজল মেডিকেল হল থেকে নীচ তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ভবনের চার তলায় আটকা পড়ে মাদ্রাসার আবাসিক শাখার ৪০ ছাত্র শিক্ষক।
স্থানীয় লোকজন ও পার্শ্ববর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলা থেকে আসা ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ঘটনা বেগতিক দেখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয়রা পার্শ্ববর্তী বিল্ডিং এর ছাদ দিয়ে আটকে পড়া ছাত্র শিক্ষকদের উদ্ধার করতে সক্ষম হন। এতে বড় ধরনের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পায় প্রতিষ্ঠানটি। উদ্ধারের সময় এক উদ্ধার কর্মী ও এক নারী আহত হলে তাদেরকে নকলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফায়ারসার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, প্রায় রাত ২ টা দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। ধারনা করা হচ্ছে বিদ্যুৎ এর শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
দোকান মালিক কামরুজ্জামান কাজল জানান, তার একটি ঔষধের দোকান রয়েছে। সে পাইকারি ও খুচরা ঔষধ বিক্রেতা। ওই ভবনেই তার একটা ঔষধের গোডাউনও ছিলো। অগ্নিকান্ডে তার দোকান ও গুডাউনের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে তার কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। অপর ক্ষতিগ্রস্ত দোকানী কামাল হোসেন জানান, তার দোকানের দুই লাখ টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ মোঃ জুনায়েদ হোসেন জানান, আমরা একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলাম। আমাদের বের হওয়ার মতো কোন পরিস্থিতি ছিলোনা। ধম বন্ধ হয়ে আসছিলো। এলাকাবাসি আমাদেরকে পার্শ্ববর্তী বিল্ডিং দিয়ে উদ্ধার করেন। ইনশাআল্লাহ আমরা এখন নিরাপদ ও সুস্থ আছি।