প্রেমের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন তার এক নিকটাত্মীয়কে। কিন্তু সিমুর পিতা এ বিয়ে মানতে নারাজ। তাই তিনি মেয়ের জামাতাসহ ওই পরিবারের ৪ জনকে অভিযুক্ত করে শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ দাখিল করেন। আদালত ভিকটিমকে উদ্ধারপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নকলা থানা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন।
পরবর্তীতে পুলিশি ঝামেলা এড়াতে স্বামীকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হন সিমু। কিন্তু পালিয়ে আর কতদিন। অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে এইচএসসি পাস করা মেয়ে সিমু আক্তার (১৯) স্বেচ্ছায় হাজির হন নকলা থানায়।
ঘটনাটি শেরপুরের নকলা উপজেলা গণপদ্দী ইউনিয়নের পিপড়ীকান্দি গ্রামের। সিমু স্থানীয় রহুল আমিনের মেয়ে।
সিমু বলেন, আমি প্রাপ্তবয়স্ক। কেউ আমাকে অপহরণ করেনি। আমি একজনকে ভালোবেসে নিজ ইচ্ছায় তাকে বিয়ে করে সুখে-শান্তিতে সংসার করছি।
জানা যায়, সিমুর বড় ভাই মনিরুজজ্জামানের বিয়ে হয় উরফা ইউনিয়নের লয়খা গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ের সঙ্গে। নজরুল ইসলামের এক ছেলের নাম মিস্টার মিয়া (২২)। আত্মীয়তার সুবাদে মিস্টারের যাতায়াত ছিল সিমুদের বাড়িতে। সেই সূত্র ধরে দু’জনের মধ্যে মন দেওয়া-নেয়া। তারপর গত ৪ নভেম্বর বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে সিমু বিয়ে করেন তার ভালোবাসার মানুষ মিস্টারকে। কিন্তু এ বিয়ে মানতে পারেননি সিমুর বাবা রহুল। তিনি জামাতা মিস্টারসহ তার পরিবারের ৪ জনকে অভিযুক্ত করে শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ দাখিল করেন। পরবর্তীতে আদালত ভিকটিমকে উদ্ধারপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নকলা থানা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে নকলা থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সিমু নিজ ইচ্ছায় থানায় হাজির হন। পরে সিমুকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।