শেরপুরের নকলা উপজেলায় চাচাকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভাতিজা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ভাতিজা মুকুল মিয়া ও তার দুই ছেলে মহসিন হাসান এবং জিহান হাসানকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার গৌড়দ্বার ইউনিয়নের রুনীগাও মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পেশায় দর্জি নিহত আইয়্যুব আলী ওই গ্রামের মৃত বছির উদ্দিন মেম্বারের ছেলে।
নিহতের ছেলে রাজন মিয়া জানান, আমাদের পরিবারের সাথে জমিজমা নিয়ে মুকুল মিয়ার দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। সেই ক্ষোভে আমার বাবা আইয়্যুব আলীকে দুইদিন আগে হত্যার হুমকি দেয় মুকুল মিয়া। প্রতিদিনের মত সকালে বাড়ি থেকে নকলায় দর্জির কাজ করতে দোকানে যান বাবা। কিন্তু গতরাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় তার ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
পরে সবাই মিলে বাবাকে খুঁজতে বের হওয়ার সময় বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে দেখি বাবার জুতা ও বাজারের ব্যাগ এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। এর কিছু সময় পর পুকুরে বাবার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পাই। পরে আমরা পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ থানায় নিয়ে যায়। নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, রুনীগাও মধ্যপাড়ায় আইয়্যুব আলী নামের এক ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া গেছে এমন সংবাদে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করে। এসময় গলায়, বুকে ও চোখের উপরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পরিবারের প্রাথমিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা রাতেই তিনজনকে আটক করেছি। যাচাই বাছাই চলছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।