শিল্প নগরী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসী এলাকার গাজী টায়ার কারখানার আগুন ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিটের সারা রাত ধরে চেষ্টার পরও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় ১৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল রোববার (২৫ আগস্ট ২০২৪) রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাগা আগুনে কারখানাটি পুড়ছে এখনো। এ সময়ে থেমে থেমে বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে বেশ কয়েকটি, যাতে কেঁপে ওঠে আশপাশের এলাকা।
সূত্র থেকে জানা যায়, রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে স্থানীয়দের মাধ্যমে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস। ঢাকা ফুলবাড়িয়া ফায়ার স্টেশন, ডেমরা, কাঁচপুর, আদমজী ইপিজেড ও কাঞ্চন ফায়ার স্টেশন থেকে একে একে যোগ দেয় ১২টি ইউনিট। ভবনটির ভেতরে আটকা পড়ে আছে বলে কয়েকজন স্বজন দাবি করেছেন। আটকা পড়াদের জন্য তাদের পরিবার-পরিজনের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে কারখানা এলাকা।
কারখানার আগুনের তীব্রতা অনেক বেশি থাকায়। এতে আশপাশের এলাকায় শিল্প কারখানা ও বাড়িঘরের লোকজনের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও কাজ করছে।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্যমতে, সাবেক মন্ত্রী ও গাজী গ্রুপের কর্ণধার গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তারের পর থেকে কারখানাটিতে গণহারে লুটপাট চলে। আগুন লাগার সময়ও লুট করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন ভেতরে আটকা পড়েছেন বলে দাবি করেন।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক রেজাউল করিম (প্রশিক্ষণ) বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। অবকাঠামোগত ও ভেতরে থাকা টায়ার উৎপাদনের দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারটি জটিল হয়ে পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে কতক্ষণ লাগবে এটা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। এখন পর্যন্ত ১৩০ জন নিখোঁজের তালিকা পাওয়া গেছে।
কি কারণে আগুনের সূত্রপাত ও কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কিছুই ধারণা করা যাচ্ছে না। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলে কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।