“প্রার্থনার অনুপ্রেরণা ফাতেমা রাণী মা-মারিয়া; যে পরিবার একত্রে প্রার্থনা করে, সে পরিবার একত্রে বসবাস করে” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারমারি মিশনে দু’দিন ব্যাপী বাৎসরিক তীর্থ উৎসবের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দু’দিন ব্যাপী এই উৎসবের প্রথম দিনে পূর্ণমিলন সংস্কার, পবিত্র খ্রিষ্টযাগ, জপমালার প্রার্থনা ও আলোক শোভাযাত্রা, সাক্রামান্তের আরধনা ও নিরাময় অনুষ্ঠান, ব্যক্তিগত প্রার্থনা ও নিশি জাগরণ। দ্বিতীয় দিনে জীবন্ত ক্রুশের পথ, পবিত্র মহা খ্রিষ্টযাগ শেষে বিদায় বা শুভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন, ঢাকা মহা ধর্ম প্রদেশের সহকারি বিশপ সুব্রত বনিফাস গমেজ। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ৪স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অনুষ্ঠান উপলক্ষে সেখানকার প্রতিটি খ্রিষ্টার বাড়ীতে সাজ সাজ আমেজ বিরাজ করছে। এদিকে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা প্রায আধা কিলোমিটার জুড়ে দোকান সাজিয়েছেন। অপরদিকে দুর-দুরান্ত থেকে আসা যানবাহন রাখার জন্যে স্থানও নির্ধারণ করা হয়েছে।
বারমারি ধর্ম পল্লীর সুত্রে জানা গেছে, জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার বারমারি খ্রিষ্ট ধর্মপল্লীতে ১৯৯৮ সালে পর্তুগালের ফাতেমা নগরের আদলে এই তীর্থস্থানটি নির্মাণ করা হয়। এটি দেশের ৮টি মহা প্রদেশের তীর্থ স্থানের অন্যতম। প্রতিবছর এই দিনে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে প্রায় অর্ধ লাখ খ্রিষ্ট ধর্মাবলীরা সমবেত হয়। এই উৎসবকে ঘিরে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে।
ফাতেমা রাণী তীর্থ উৎসব অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী ও পাল পোরহিত ফাদার তরুণ বনোয়ারিজানান, দু’দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানের সকল কার্যাদি সম্পন্ন করা হয়েছে। রাত পোহালেই উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে তীর্থ উৎসবের সকল অনুষ্ঠান।
এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,নালিতাবাড়ী সার্কেল মো. দিদারুল ইসলাম জানান, এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ৪স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোষাকেও সবস্থানে নজরধারি করা হবে। সড়কে যানজট নিরষণে কাজ করবে ট্রাফিক পুলিশ। এরপরেওএই অনুষ্ঠানে কেউ যদি কোন নাশকতা করার চেষ্টা চালায়, তাহলে তাকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।