সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে মোবাইল চার্জ দেওয়াকে কেন্দ্র করে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হন কমপক্ষে ৬০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে মাইকে ঘোষণা করে আবারও সংঘর্ষের জড়ায় কোম্পানীগঞ্জের তিন গ্রামের লোকজন। পরে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মোবাইল চার্জ দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুজনের কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে রাতে উপজেলার বন্নি ও কাঁঠালবাড়ি গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে এটি ত্রিমুখী সংঘর্ষে পরিণত হয়। যাতে প্রায় ৪০ জন আহত হন। এ সময় বেশকিছু দোকান ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে রয়েছে। রোববার সকালে মাইকে ঘোষণা করে আবারও কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর, বন্নি ও কাঁঠালবাড়িসহ ৩ গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সকালে বন্নি গ্রামের লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে কাঁঠালবাড়ি গ্রামের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত ও অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। ঘটনার আড়াই ঘণ্টা পর সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান রাসেল বলেন, সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি আহত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সংঘর্ষের ব্যাপারে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, কোম্পানীগঞ্জে মোবাইল চার্জ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ফের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ ঘটনায় অনেক আহত হয়েছেন। তবে নিহতের ব্যাপারে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ছোট খাটো বিষয় নিয়ে এত বড় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানো আসলে কাম্য নয়। সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ধৈর্য ধরে অবস্থার অবনতি না ঘটানোর জন্য আহ্বান জানান তিনি।