মুক্তিযোদ্ধার সনদ জাল করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে মোরশেদ আলম নামের এক পুলিশ কনস্টবলকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত এবং তাকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায় অন্যথায় আট মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নোয়াখালীর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন। আসামি পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি অ্যাডভোকেট মো. আবুল কাশেম রায়ের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন।
দুদকের তথ্য মতে, ২০১২ সালে ফেনী জেলায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় স্থানীয়ভাবে ৭৩ প্রার্থীকে ফেনী পুলিশ লাইন্স মাঠে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়। বাছাই করা প্রার্থীদের মধ্যে চূড়ান্তভাবে ৪৫ পুরুষের মধ্যে ৯ জনকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত করা হয়।
চুড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্ত ৪৫ জন পুরুষের মাঝে মোরশেদ আলমও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ছিলেন। চূড়ান্ত হওয়ার পর তাকে ৬ মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে পাঠানো হয় এবং প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পোস্টিং দেওয়া হয়। এরই মধ্যে তার দাখিল করা মুক্তিযোদ্ধা সনদ যাচাইয়ের জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাইয়ে মোরশেদ আলমের দাখিল করা মুক্তিযোদ্ধা সনদটি জাল প্রমাণিত হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
মামলার বাদী (দুদক) জানান, মামলার পর আসামি পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।