মাদক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কাজ করায় গাজীপুরের কালিয়াকৈ ভান্নারাতে সাংবাদিক শেখ তিতুমীর এর ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়। হামলায় শেখ তিতুমীর আহত হন। আহত অবস্থায় আশেপাশের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
শেখ তিতুমীর গোপালগঞ্জের কৃতি সন্তান। পেশায় তিনি একজন সাংবাদিক। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্মীয় উপ- কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ সংগঠন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং সাপ্তাহিক অভিযোগ, দৈনিক আমার প্রিয় বাংলাদেশ, সাহিত্য বার্তা প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। এছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় কাজ করছেন ,তিনি গণপ্রজান্ত্রীত বাংলাদেশ সরকারের রাজনৈতিক পিআইডি রির্পোটার।
দীর্ঘদিন ধরে কালিয়াকৈরে মাদক সিন্ডিকেট চলে আসছে। কিন্তু প্রশাসন এর বিরুদ্ধে কোনো হস্তক্ষেপ করছিল না। তারা যেন এসব দেখেও দেখছিলো না। যার জন্য সন্ত্রাসীরা আরো অনিয়মের সুযোগ পায়। শুধু তাই নয় ,তারা সন্ত্রাস চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে ধর্ষনমূলোক কাজও করে থাকে। তাই এর বিরুদ্ধে শেখ তিতুমীর প্রতিবাদ করেন।
ঘটনার সুত্র, গত ১১ জানুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে রাসেল পারভেস সহ তার সঙ্গপঙ্গ কে কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক পুলিশ ফাড়ির পুলিশ তাদের আটক করে। আটিক করা পর পর অবিশ্বাস্য ভাবে তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়।
ছাড়া পাওয়ার পর রাসেল পারভেস সন্দেহ জনক ভাবে নিরিহ সোহেল নামে এক ছেলেকে ,তার ভাগীনা রাকিব দেওয়ান(,৩০) পিতাঃ রাজ্জাক দেওয়ান, শাওন, শামিম, নাঈম সহ ভান্নারা মাস্টার চালায় হত্যার উর্দ্দেশে হামলা করেন, শরিলে বিভিন্ন ভাবে জখম করেন।
আহত সোহেল এলাকার মেম্বার হাসেম সাহেবকে এ বিষয়ে জানান। মেস্বার তাদের কে বিচারের জন্য বিভিন্ন ডেট দিলেও তারা আসেন না।
অত:পর এই সন্ত্রাসী চক্র মাদক বিক্রতা ও তার সঙ্গী সাথীরা শেখ তিতুমীরকে সন্দেহ করে তাকে অকথ্য ভাষায় বকাবকি করে। এমনকি তার পরিবারের মেয়েদের বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি করবে বলে জানান। তারা তিতুমীরকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।
বিষয় টি মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই শাহ্ আলম কে জানানো হলে, শাহ্ আলম তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দেন এবং বলেন তাদের মাদক সহ ধরতে পারলে আমাদের জানাবা আমরা ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে ভান্নারার মেম্বার হাসেম সাহেবকে অবগত করা হয়। হাসেম তিতুমীরকে তাদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমান সহ থানায় মামলা করার কথা বলেন এবং এর সমাধান দেবেন বলে কথা দেন।
পরে মাদক কারবারি ধরার উদ্যেশ্যে ASI শাহ্ আলম কে মুঠোফোনে সংযুক্ত রেখে শেখ তিতুমীর মাদক ব্যবসায়ী রাসেলের সহযোগী নাঈম কে ফোন দেন। ফোনে নাঈমের দেওয়া ঠিকানায় গেলে সেখানে রাসেল পারভেজ, শাওন, নাঈম’সহ আরও কয়েকজনকে প্রচুর পরিমানে মাদকসহ দেখতে পান। এক পর্যায়ে তিতুমীর তাদের মাদক’সহ হাতে নাতে ধরেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে সন্ত্রাসীরা। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। পরে এলাকার লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
ঘটনার দিন এ এস আই শাহ্ আলমকে সন্ত্রাসীদের মাদক এবং হুমকি ধামকির বিষয়ে জানানো হলে তিনি এ বিষয়ে ঘাটিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন। পরে তিতুমীর কালিয়াকৈর থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ঘটনা ঘটার পরেই অভিযুক্ত রাসেল’সহ তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১১ জানুয়ারি রাসেল’সহ তার সঙ্গীদের আটক করে পুলিশ। কিন্তু আটক করার কয়েক ঘন্টা পরেই অবিশ্বাস্ব ভাবে তাদের আবার ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু কেন ছেড়ে দেওয়া হয়? তবে প্রশ্ন থেকে যায়, তবে কি প্রশাসন এর সাথে জড়িত আছে? আর যদি জড়িত না ই থাকে, তাহলে এখনো কেন এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলো না?
দীর্ঘ এক(১) মাস পরেও তারা সোশ্যাল মিডিয়াতে(ফেসবুক) বিভিন্ন ফেক আইডি খুলে ভুক্তভোগী তিতুমীর ও তার পরিবারের নামে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করছে। এমন কি তিতুমীরের নামে আইডি খুলে বিভিন্ন বাজে বাজে পোস্ট করছে।এ বিষয়ে তিতুমীর জানান, এর মধ্যেই অনেকবার তার আইডি হ্যাক করার চেষ্টা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এক(১) বার হ্যাক করতে সফল হলেও আইডি আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
জাতীয় সাপ্তাহিক পত্রিকা ও দৈনিক গণতদন্ত পত্রিকার অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১১ জানুয়ারি রাসেল’সহ তার সঙ্গীদের আটক করে পুলিশ। কিন্তু আটক করার কয়েক ঘন্টা পরেই অবিশ্বাস্ব ভাবে তাদের আবার ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু কেন ছেড়ে দেওয়া হয় জানা যায় নি।
তবে প্রশ্ন থেকে যায়, তবে কি প্রশাসন এর সাথে জড়িত আছে? আর যদি জড়িত না ই থাকে, তাহলে ম্যাডিকেল রির্পোট তার উপর হামলা, কালিয়াকৈর থানায় করা অভিযোগ জমা দেবার পরেও ঘটনার এতো দিন পরে ও এদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কেন হলো না?