মরার উপর যেন খাড়ার ঘা, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় অবস্থিত ফারাক্কা বাঁধের ১০৯ গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে বাংলাদেশের নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. ময়েজ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘গতকাল (রোববার) পর্যন্ত ফারাক্কার ২৭টি গেট খোলা ছিল। আজ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখলাম মোট ১০৯টি গেট খোলা হয়েছে। এভাবে হঠাৎ এতগুলো গেট খুলে দিলে এ অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
’আজ এই বাঁধ থেকে ছাড়া হয়েছে ১১ লাখ কিউসেক পানি। কর্তৃপক্ষের দাবি, পানি না ছাড়লে বাঁধের মারাত্মক ক্ষতি হতো। এ কারণে বাধ্য হয়েই বাঁধের মুখ খুলে দিতে হয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গজুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছিল কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সেই পূর্বাভাসকে সত্যি করে দুদিন ধরে এক নাগাড়ে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। তাতে বেড়ে গেছে গঙ্গা নদীর পানি স্তর এবং চাপ বেড়েছে ফারাক্কা ব্যারেজে।
ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার আর দেশ পাণ্ডে জানিয়েছেন, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যা সৃষ্টি হওয়ায় গঙ্গা নদীর পানিস্তর বেড়ে গেছে। এর জন্য ফারাক্কার ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। পানি না ছাড়া হলে ব্যারেজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাঁধ খোলার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এই পানি ছাড়ার ফলে ফারাক্কার ব্যারেজের আশপাশের গ্রামে পানি ঢুকছে। ফলে সেখানে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি।