প্রিয় মানুষটাকে একগুচ্ছ ফুল সবারই দিতে ইচ্ছে করে, বিশেষ করে ভালোবাসা দিবসে। বাংলাদেশের বৃহত্তম পাইকারি ফুলের বাজার যশোর-বেনাপুল মহাসড়কের গদখালী। সাইকেল-ভ্যানে করে বাহারি রঙের ফুল নিয়ে বাজারে আসেন চাষিরা। তাঁদের কারও কাছে গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা; কারও কাছে জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকাসহ বাহারি রঙের সব ফুল। দূরদূরান্ত থেকে আসা ব্যাপারীরা সেই ফুল কিনেন বাজারজাত করার জন্য। বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে জমজমাট বেচাকেনা। প্যাকেজিং শেষে বাস-ট্রাকে সেই ফুল যাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে।
স্থানীয় ফুলচাষি ও দূরদূরান্ত থেকে আগত ব্যবসায়ীদের ভাষ্য মতে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, পয়লা ফাল্গুন ও সরস্বতীপূজা সামনে রেখে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ফুলের বেচাকেনা অনেক বেশি থাকে। এর মধ্যে গত রোববার সবচেয়ে বেশি বেচাবিক্রি হয়। ওই দিন পাইকারিতে একটি গোলাপ ২৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
গতকাল সোমবার থেকে গোলাপসহ সব ধরনের ফুলের দাম কমতে শুরু করে। আজও দাম কমেছে। এরপরও গতবারের তুলনায় দাম তেমন কমেনি। রোববার থেকে আজ পর্যন্ত তিন দিনে পাঁচ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু গোলাপ বিক্রি হয়েছে পৌনে তিন কোটি টাকার।
যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম বলেন, ভালোবাসা দিবস, পয়লা ফাল্গুন ও পূজা ঘিরে ৮ তারিখ থেকে বেচাবিক্রি বাড়ে। এর মধ্যে রোববার বেশি বেচাকেনা হয়। গত তিন দিনে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে। এর মধ্যে গোলাপ পৌনে তিন কোটি, গ্লাডিওলাস এক কোটি, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, জিপসি ও কামিনীপাতা মিলিয়ে এক কোটি টাকার বিক্রি হয়েছে।
আগত ব্যবসায়ীরা জানান, গদখালী পাইকারি ফুলের বাজারে আজ গোলাপ ১০ থেকে ১৫, জারবেরা ১৪ থেকে ১৬, রজনীগন্ধা ১১ থেকে ১২, গাঁদা প্রতি হাজার ৬০০ থেকে ৮০০, জিপসি ও কামিনীপাতা প্রতি মুঠো ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে পাইকারি বেচাকেনা হয়েছে।