পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (৬ অক্টোবর), এখানে এক যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে খাবারে বিষ মিশিয়ে খুন করেছে তার নিজের পরিবারেরই ১৩ জন সদস্যকে। কেন এই কাণ্ড ঘটাল সে? সামনে এসেছে তার কারণও।
পাকিস্তানের এই তরুণি তার প্রেমিককে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু তার পরিবার, ওই ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। আর এই রাগ থেকেই পরিবারের ১৩ জনকেই চিরঘুমে পাঠিয়েছেন ওই যুবতী। এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৯ অগস্ট, খয়েরপুরের কাছে হাইবত খান ব্রোহী নামে এক গ্রামে।
পুলিশের বরাতে জানা যায়, তার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করতে না দেয়ায় মেয়েটি তার পরিবারের সকলের উপর প্রচণ্ড খেপে গিয়েছিল। এরপর সে তার প্রেমিকের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের বিষ খাওয়ানোর ষড়যন্ত্র করে। যার মধ্যে মেয়েটির বাবা-মা-ও ছিল। খয়েরপুরের পদস্থ পুলিশ কর্তা ইনায়েত শাহ বলেছেন, “১৩ জন সদস্যের সকলেই ওই বিষ মেশানো খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাউকেই বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসা চলাকালীন সকলেরই মৃত্যু হয়। সকলের দেহ ময়নাতদন্ত করে দেখা গিয়েছে, প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয়েছে বিষক্রিয়ায়।”
কে তাদের বিষ খাওয়ালো। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে, ওই বাড়িতে গম থেকে রুটি তৈরি করা হত। সেই গমেই বিষ মিশিয়েছিল মেয়েটি এবং তার প্রেমিক। এরপরই, রবিবার তাকে আটক করে পুলিশ। ইনায়েত শাহ বলেছেন, “অনেক চেষ্টা করেও, মেয়েটি তার পরিবারকে বোঝাতে পারেনি। তার পছন্দের ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি ছিল না পরিবারটি। আর তাতেই ভয়ঙ্কর রেগে গিয়েছিল মেয়েটি। সেই রাগ থেকেই সে এটা করেছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, পুলিশের জেরার মুখে মেয়েটি তার প্রেমিকের সাহায্যে গমে বিষ মেশানোর কথা স্বীকারও করেছে।