বিগত কয়েকদিন আগে টানা বৃষ্টিতে এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুর জেলার ৩ টি উপজেলায় আকষ্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে, নকলা,নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী উপজেলায় প্রায় সম্পুর্ণ রুপে প্লাবিত । ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কয়েক হাজার একর রুপা-আমন ধান ক্ষেত, মাছের হ্যাচারি ও নিত্য প্রয়োজনীয় শাক সবজির আবাদ। আকষ্মিকভাবে কোন প্রকার পূর্বাভাস ছাড়ায় প্লাবিত হওয়ায় মানুষের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অনেক বেশি। শতশত মৎস্য খামারী নিঃস্ব প্রায়।
পরিবার নিয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে অনেকেই, একমুঠো শুকনো খাবারে অপেক্ষায় তারা তাকিয়ে আছে মানবতার দিকে। শেরপুর জেলার জেলা প্রশাসন,উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবং অনান্য সেচ্ছাসেবী সংগঠন, এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা তারা তাদের মানবিক ত্রান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন, যা এত বিশাল বন্যার্তদের জন্য পর্যাপ্ত নয়।
বাংলাদেশের মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ( বি এম এস এফ) এর পক্ষ হতে, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা শাখার সহযোগিতায় নকলা উপজেলার বিভিন্ন পানি বন্দী জনসাধারণের মাঝে শুকনো খাবার বিতরন করেন।
নকলা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক জনাব শফিউজ্জামান রানার নেতৃত্বে এই মানবিক সহায়তার খাবার বিতরন করেন। এসময় বি এম এস এফ এর অনান্য সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
শুকনো খাবারের মধ্যে ছিল চিড়া-মুড়ি, গুর, বিশুদ্ধ পানি, ওরস্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ঔষধ পাতি। নকলা উপজেলার প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে রুপা আমন, মাছের পুকুর, এবং শীতকালিন রবী শষ্য সম্পুর্ণ রুপে ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে।
এ বিষয়ে ( বি এম এস এফ) এর সম্মানিত সভাপতি এবং ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব আহম্মেদ আবু জাফর সাহেব বলেন, নকলা বাসিদের বন্যা পরবর্তী সময়ে জীবন মান উন্নয়নের জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
নকলা উপজেলার প্রায় ৪ টি ইউনিয়ন সহ শেরপুর জেলার ২ টি উপজেলা শ্রীবর্দী- ঝিনাইগাতী, নলিতাবাড়ী ৯৫%, নকলা উপজেলার ৫০% এবং শেরপুর সদর উপজেলার ২০% এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে দূর্বিষহ জীবন যাপন করছেন সেসব এলাকার মানুষ। কেউবা আবার সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব প্রায়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আকস্মিক বন্যায় শেরপুর জেলায় পানিতে ডুবে এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।