কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শেরপুর জেলা, নকলা উপজেলা, ৯নং চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুকশেদুল আলম (মুকশেদ মাস্টার)। তিনি বলেন আমি আমরা জীবন যৌবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়টুকু বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জন্য ব্যায় করেছি এবং বাকি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাথে থাকতে চাই।
তার ভাষ্যমতে আওয়ামী লীগের দুর্দিন থেকে আমি আওয়ামী লীগ করি। যখন সারা বাংলাদেশের শহর, বন্দর, গ্রামগঞ্জে, চারদলীয় জোট বিএনপির নৈরাজ্যকতায় থমথমে পরিবেশ ছিল, তখন নিজের জীবন বাজি রেখে বঙ্গবন্ধুর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা থেকে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ভালোবাসা রেখে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে, নৌকাকে ভালোবেসে, জীবনের মায়া না করে নৌকার স্লোগান দিয়েছি। শুধু স্লোগান দিয়েই ক্ষেন্ত ছিলাম না, ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী সংগঠনকে সুসংগঠিত করে মিছিল মিটিং করেছি।
২০০৪ সালে শিশু কিশোর বিদ্যা নিকেতন স্কুল মাঠে ইফতার পার্টির আয়োজন করি ইউনিয়ন আওয়ামী সংগঠনের পক্ষ থেকে, ইফতার শুরুর পূর্ব মুহূর্তে চার দলীয় জোটের গুন্ডা ও সন্ত্রাস বাহিনী অতর্কিত হামলা চালাই আমাদের উপর। আমি সহ আমাদের অনেক নেতাকর্মীর দিকে বন্দুক ত্যাক করে ধরেন এবং অন্যান্য নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। আমি সহ অনেক নেতাকর্মী আহত হন।
চন্দ্রকোনা থেকে শেরপুর গামী সিএনজি স্ট্যান্ডের সাথেই আমার একটি স্কুল লাইব্রেরী ছিল, সেখানে লুটপাট সহ লাইব্রেরির মালামাল বিনষ্ট করেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে নির্যাতন সহ দীর্ঘদিন জেল খাটায় চারদলীয় দুঃশাসন জোট।
এত নির্যাতিত হওয়ার পরেও আমি কখনো নৌকার বিরুদ্ধে যায়নি, অর্থের লোভে পড়ে কখনো নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করেনি, জীবনের বাকি দিনগুলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে, নৌকাকে ভালোবেসে কাটাতে চাই।
আমি আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ ত্যাগী কর্মী হিসেবে সামনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদের জোরালো দাবিদার। আমি আশা করি সামনে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা থেকে আগত আওয়ামী লীগের সম্মানিত নেতাকর্মীরা হাইব্রিড, নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচনকারী, চারদলীয় জোট থেকে আগত প্রার্থীদের ভীড়ে আমাকে যথাযথ মূল্যায়ন করবেন।